—–সন্তোষ মল্লিক, কানাডা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি ,আমি কি ভুলিতে পারি…। বায়ান্নর এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন সেই সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ।
যেসকল অকৃতজ্ঞরা প্রবাসীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের কী জানা আছে ,প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের কতগুলো পরিবার ভোগ করে ? এমন কোন প্রবাসী নাই যারা দেশে টাকা পাঠায় না । যিনি জীবনে কোনদিন একহাজার টাকা কাউকে সাহায্য করছেন কী -না সন্দেহ , তিনিও দেখি প্রবাসীদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেন । আমাদের বিদেশে জন্ম নেয়া বাচ্চারা যখন গায় ‘আমার সোনার বাংলা ,আমি তোমায় ভালবাসি , অথবা “এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো তুমি , সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি , তখন আমি আনন্দে আপ্লুত হই ।
আজকে ফেসবুকে একজনকে দেখলাম ওনার সন্তানদের নিয়ে প্রচন্ড শীত আর বরফের মধ্যে টরোন্টোর শহীদ মিনার পরিষ্কার করছেন , অনেক বাচ্চারা স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শহীদ মিনার তৈরির জন্য চাঁদা দিয়েছে , যদিও এই শহরে রাজাকার শাবকদেরও অভাব নাই , একজন মন্তব্য করেছিল প্রবাসে এসে একুশে ফেব্রুয়ারী পালন করার দরকার কী ? শহীদ মিনারের দরকার কী ? এসব শুনে খুব কষ্ট পাই। যাদের রক্তের বিনিময়ে আজকে আমাদের এই কথা বলার স্বাধীনতা, তাদেরকে এভাবে কেউ কি উপেক্ষা করে কথা বলতে পারে ? এরা কারা ?
একুশ আমার হৃদয়, আমার চেতনা আমার শেকড়। ২১শে ফেব্রুয়ারি অমর হোক।
ছবিতে কানাডার বিভিন্ন শহরে স্থাপিত বাংলাদেশিদের স্থাপনা ।
মতামত লিখুন :