উল্লেখ্য যে, করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলায় ২০ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে ব্যবসায়ীদের করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন,চেম্বারের সভাপতি আমিনুল হক শামীম, সিআইপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান,পুলিশ সুপার মোঃ আহমার উজ্জামান। সভা পরিচালনা করেন চেম্বারের সহ সভাপতি শংকর সাহা। সভায় চেম্বারের অধীন ৪৪ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন,করোনার টিকা না আসা পর্যন্ত মাক্স টিকার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। করোনার শুরুতে আমরা বিভ্রান্ত ছিলাম। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। আগামিতেও ভালো থাকতে চাই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে গত ১ লা নভেম্বর থেকে আমরা বিভিন্ন সেক্টরের সাথে আলোচনা করছি। আমরা যেন ব্যবহৃত মাক্স যত্রতত্র ফেলে মহামারী করোনার বিস্তার না করি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নাকি প্রথমের চেয়েও ভয়ংকর হবে।তাই সবাইকে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে। এখন যারা করোনায় অাক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের নানা উপস্বর্গে আক্রান্ত হচ্ছেন। সুতরাং মাক্স ব্যবহারের বিকল্প নেই। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য বলেন,অনুমোদন বিহীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেন কেউ বিক্রি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান অতিথি মেয়র ইকরামুল হক টিটু আরো বলেন, ২২ নভেম্বর টাউনহলে সিটি করপোরেশনের ৩৩ টি ওয়ার্ডের মাঝে মাক্স বিতরন করা হবে।
বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আইন চাপিয়ে দেবার বিষয় নয়। আমরা সবাই যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করি, তবে প্রথম ঢেউ যেভাবে মোকাবিলা করেছি,সেভাবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে হবে। প্রতিটি মার্কেটে টিম গঠন করে নো মাক্স, নো সেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রয়োজনে আপনারা মাক্স সরবরাহ করবেন। কোন সভা সমাবেশ হবে না। আগামী ৬ মাস খুবই ভয়ংকর। ২৯ নভেম্বর থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। তার আগে মাক্স ব্যবহারে ব্যাপক জন সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
পুলিশ সুপার মোঃ অাহমার উজ্জামান বিপিএম বলেন, করোনায় বিশ্ব অর্থনীতি বিপযস্ত হলেও অামাদের ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারনা চালাচ্ছি। সবার জন্য আইন সমানভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করেছি। মাক্স না পড়লে জেল জরিমানা করা হবে বলে মানুষকে সচেতন করছি। বিকল্প ব্যবস্থা না করে যান বাহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করা যাচ্ছেনা।
সভাপতির বক্তব্যে চেম্বারের সভাপতি অামিনুল হক শামীম বলেন,করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরো শক্তিশালী রুপে অাবির্ভাব হতে পারে। প্রতিটি গাড়ীতে মাক্স বাধ্যতামুলক করা হবে। মাক্স সঠিকভাবে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে। কাল শনিবার থেকে গাঙ্গিনারপাড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মাক্স বিহীনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুশিয়ার দিয়ে বলেন,স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাত ধোঁয়া, মাক্স ব্যবহার ও হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত জীবানু মুক্ত করতে হবে। সভায় বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারাও বক্তব্য রাখেন।