নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে,
ব্যাধের বাঁশিতে বাজছে হারানো সুর।
অবয়বহীন দুঃখগুলো কেমন জড়িয়ে আছে
পাতলা সরের মতো।
প্রেমে পড়লে এমনি বোধহয় হয়
মন আদায় করে নেয় তার ন্যায্য প্রাপ্য।
বহুকাল, বহুদিন,বহুরাত্রি শেষে মরু হয়ে যাওয়া আবেগে
জল সিঞ্চন করলো যেন আশ্চর্য নীলকণ্ঠ পাখি
সীতা ভোলানো হরিণের মতো কিছু ঘটছে লুব্ধমনে।
তেমনি একটু একটু করে সবুজ পাতায়
ভরে যেতে পারতো গাছটা
আবার একটু একটু করে ঝরেও যেতে পারতো
কি আশ্চর্য! তেমন কিছুই ঘটলো না
আদিগন্ত তোলপাড় করে শুধু ভেসে যাচ্ছিল
ভাঙ্গনের মোহনায়।
মগ্ন চৈতন্যে জেগে উঠছিল বসন্ত রোদ দিন।
মনের জমি শূন্য পড়ে থাকলে
একটু একটু করে আগাছা জন্মায় তাতে
মহুয়া মাতাল নেশার মতো নেমে আসে জ্বর
মুক্তির খোঁজে মেলেনা তখন, গাণিতিক সমীকরণ।
কবিতার প্রহরে
তুমি আজ ক্যানভাস
মাছরাঙার মসৃন পালকের মতো
আজ আঁকবো তোমায় আমি,
মেহেদীর সবুজ নিংড়ানো কমলা ভালোবাসায়
ভিজবে সময় নন্দিত ব্যঞ্জনায়।
অ্যাক্রিলিক,প্যাস্টেল আর জলরঙের ছোঁয়ায়
ত্রিমাত্রিক কথা বলবে প্রণয়ের প্রহর।
উপেক্ষিত অবয়বহীন রঙগুলোকে বাঙ্ময় করে তুলবো
দেবো নিশ্চিত আকার, মৃদু উষ্ণতায়।
প্রথাগত নিঁখুত রেখার ছাপ নয়
প্রতিকৃতি আর প্রকৃতির মিশেলে
মূর্ত বিমূর্ত ক্যানভাস রাঙাবো আজ।
সাগরের ঢেউ লঙ্ঘন করে যাবে বিপদসীমা
মুঠো মুঠো রঙের ছোপে
মিশিয়ে দেবো নক্ষত্রের গুঁড়ো,
ধ্রুপদী ছন্দে ভেঙে দেবো অনিশ্চিত অস্তিত্বের
অন্তহীন ঘুম।
শব্দহীন মৌনতায় ছুঁয়ে যাবো কল্পিত শীর্ষ চূড়ো।
পরকীয়া ওই দেহখানিতে
স্বতোৎসারনের মতো বেজে উঠবে
বিটোফেনের নাইনথ সিম্ফনি
হেসে উঠবে লিওনার্দোর মোনালিসা
অধর রুধির পানে, হবে শোনিত স্নাতা
রঙ,রেখার রসায়নে পাল্টে যাবে অবয়ব
যেভাবে পাল্টে যায় পাথর চাপা সফেদ ঘাস
নিজেকে ফাঁকি দিয়েই নাহয় পান করবো
খানিকটা মহুয়ার নির্যাস!
সব কবিতাই ভীষণ একাগ্রতা প্রার্থনা করে।
————————————-
Leave a Reply