Logo

মোহনগঞ্জে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন

অনিন্দ্য বাংলা
সোমবার, মার্চ ২৮, ২০২২
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা :  নেত্রকোণা মোহনগঞ্জের আদর্শনগরে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে ২৪ শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন এবং মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের “জাগ্রত মুজিব” শীর্ষক ম্যুরাল উন্মোচন করেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি এবং বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানেও তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি এবং নেত্রকোণা ৪ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য  রেবেকা মমিন। সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়। এছাড়াও মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য  রফিকউল্লাহ খান, শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় এর গভর্নিং বডির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক নেত্রকোণা কাজী মোঃ আব্দুর রহমান। সভাপতি ছিলেন শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদুল হাসান।
শিক্ষামন্ত্রীর সড়কপথে ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জের আসার সময় পথে পথে ছিলো নেতাকর্মী ও উৎসুক জনতার ভিড়। তাঁর মোহনগঞ্জে আগমনে জনসাধারণের মাঝে ছিলো আনন্দ উচ্ছ্বাস। ব্যানার ফেস্টুনে সুসজ্জিত ছিল মোহনগঞ্জ। আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি মোহনগঞ্জ এসে পৌঁছান। মধ্যাহ্ন বিরতিতে কিছুটা সময় সাজ্জাদুল হাসানের বাসায় অতিবাহিত করার পর প্রাক্তন গণপরিষদ সদস্য ডাক্তার আখলাকুল হোসাইন আহমেদের নামে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার আখলাকুল হোসাইন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও গ্রন্থ কুঞ্জে অপেক্ষামান ক্ষুদে পাঠকদের সাথে আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করেন। সেখান থেকেই শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় এর অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওনা হন।
শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রবেশের মুখে ছাত্র-ছাত্রী সহ উৎসুক জনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল মাঠ। শিক্ষা মন্ত্রী সুইচ টিপে যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উন্মোচন করছিলেন তখন তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন  প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব রেবেকা মমিন, সংরক্ষিত আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী। অতঃপর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের জন্য নির্মিতব্য একটি মাল্টিপারপাস ভবন, একটি ডরমিটরি, একটি ছাত্রীদের হোস্টেল ও একটি ছাত্রদের হোস্টেল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন। অতঃপর সভাপতি হিসাবে প্রধান অতিথি সহ সকলকে নিয়ে মূল আলোচনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত হই।  প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি এমপি’র মনোমুগ্ধকর বক্তৃতার সময় শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এ বিশাল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েও দেয়ালের বাইরে রাস্তায় ছিলো অসংখ্য মানুষের ভিড়। কবি নির্মলেন্দু গুণের একটি কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে তাঁর প্রাণবন্ত বক্তৃতা সম্পন্ন করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জনাব সুভাষ সিংহ রায় এর তথ্য ভিত্তিক আলোচনার সময় ছিল পিনপতন নীরবতা। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের সুসজ্জিত ‘আখলাকুল হোসাইন স্মৃতি গ্রন্থাগার’ পরিদর্শন করেন। যা কিছু দিন পূর্বে বিশিষ্ট কবি নির্মলেন্দু গুণ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্বে তিনি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাওর পাড়ের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন এবং বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন বিষয়ে তিনি যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন তা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন করে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের মনে চিরজাগরুক হয়ে থাকবে।
মহাবিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সাজ্জাদুল হাসান  শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধান আলোচক এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দকেও অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  তিনি বলেন, ভাটি অঞ্চলের সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এই মহাবিদ্যালয়টি আরও এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা রইলো। মহাবিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি। অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে সফল করার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো।
সবশেষে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় সম্পর্কে পরিদর্শন বইতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর মূল্যায়ন এবং অনুষ্ঠানে ধারণকৃত কিছু চিত্র সংযোজন করা হয়।