Logo

যৌনতার ভিডিও ফাঁস! ২০০ কোটি টাকা আয়।

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, মার্চ ২২, ২০২২
  • শেয়ার করুন

অন্তর্জাল সংবাদ :   রে জে-র সঙ্গে উদ্দাম যৌনতার ভিডিও ফাঁস হওয়া মাত্রই সকলের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন কিম কার্দেশিয়ান। নেটমাধ্যমে ওই ভিডিওটি এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি বার দেখেছে দর্শকরা।
 
বছর কুড়ি আগে তেমন পরিচিতি ছিল না কিম কার্দেশিয়ানের। পেজ থ্রি-র পাতায় মাঝে মধ্যে ২২ বছরের মেয়েটির নাম ভেসে উঠত বটে। তবে নামজাদা আইনজীবী রবার্ট কার্দেশিয়ানের মেয়ে হিসেবে। সেই আইনজীবী, যিনি আমেরিকান ফুটবলার ও জে সিম্পসনের বন্ধু। যিনি সিম্পসনের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের হত্যাকাণ্ডে বন্ধুর হয়ে আদালতে সওয়াল করেছিলেন।
 
২০০২ সালে আরও কয়েকটি কারণে কিম কার্দেশিয়ানের নাম করতেন অনেকে। হিলটন হোটেলস-এর উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটনের বন্ধু হিসেবেও লোকজন চিনতেন তাঁকে। আবার হিপ হপ গায়িকা ব্র্যান্ডির স্টাইলিশ হিসেবেও চোখে পড়েছেন। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ডির ছোটভাই উইলি ‘রে জে’ নরউডের বান্ধবী হিসেবেও ধরা পড়ছিলেন পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়।
 
তবে বছর কয়েকের মধ্যে অবশ্য ছবিটা পাল্টে যায়। বিনোদনের পাতায় যাঁর টুকটাক ছবি দেখা যেত, সেই কিম রাতারাতি তারকা হয়ে যান। অনেকের দাবি, এর পিছনে একটি ভিডিওর অবদান কম নয়।
 
রে জে-র সঙ্গে কিমের উদ্দাম যৌনতার ভিডিও ফাঁস হওয়ামাত্রই সকলের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন রবার্ট কার্দেশিয়ানের মেয়ে।
 
একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের দাবি, ২০০২ সালের অক্টোবরে ২৩তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে রে জে-র সঙ্গে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কিম।
 
সে সময় একটি ক্যামকর্ডারও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন কিম এবং রে। ছুটির মজাদার ছবি ছাড়াও তাতে বন্দি হয়েছিল দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত।
 
কিম এবং রে-এর একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্ত কী ভাবে ফাঁস হল? অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলেছেন দু’জনে। সেই দাবি বা পাল্টা দাবির টানাপড়েন আজও অব্যাহত। তবে তাতে ‘কিম কার্দেশিয়ান, সুপারস্টার’ নামে ওই ভিডিওর জনপ্রিয়তায় আঁচ লাগেনি।
 
নেটমাধ্যমে ওই ভিডিওটি নাকি এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি বার দেখা হয়ে গিয়েছে। তবে ভিডিওটি সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে আসেনি। ২০০৭ সালে তা ফাঁস হয়েছিল। তার আগে অবশ্য আরও একটি ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছিল হলিউডে। সেটি কিমের বন্ধু প্যারিস হিলটনের।
 
ওই ভিডিওটি নাকি ২০০১ সালে তুলেছিলেন খোদ প্যারিস। তাতে প্যারিসের সঙ্গে ছিলেন তাঁর তখনকার বয়ফ্রেন্ড রিক সলোমন। দু’জনের ঘনিষ্ঠতার মুহূর্তগুলি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল আরও কয়েক বছর পর— ২০০৪ সালে।
 
প্যারিস বরাবরই দাবি করেছেন, রিকের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও কী ভাবে ফাঁস হল, তা জানেন না। যদিও আমেরিকার একটি ট্যাবলয়েডের দাবি, ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ নামে ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আনার জন্য নাকি প্যারিসের পকেটে ১০ লক্ষ ডলার চলে গিয়েছে।
 
২০০৭ সালে প্যারিসকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল কিমের ভিডিও। পর্ন ছবি তৈরি করে এমন এক সংস্থা সেটি প্রকাশ্যে এনেছিল। তবে কিমের ভিডিও কী ভাবে তাদের হাতে পৌঁছল, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা রয়েছে।
 
৪১ মিনিটের ওই ভিডিওটি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সে জন্য আইনি লড়াইও করেছিলেন কিম। তবে শেষমেশ তাতে সফল হননি তিনি।
 
২০০৭ সালে ২১ মার্চ তা দিনের আলো দেখামাত্রই হামলে পড়েছিলেন কোটি কোটি উৎসাহী। অখ্যাত এক স্টাইলিস্ট থেকে রাতারাতি তারকার খ্যাতি পেয়ে গিয়েছিলেন কিম।
 
ওই ভিডিও থেকেই নাকি কিমের রোজগার হয়েছিল ২ কোটি ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি! আয়ের নিরিখে প্যারিসকেও নাকি ছাপিয়ে গিয়েছিল কিমের একটি ভিডিও।
 
এক লহমায় খ্যাতির আলোয় চলে এলেও তার খেসারতও দিতে হয়েছিল কিমকে। প্যারিসের সঙ্গে কিমের বন্ধুত্বে শেষ পর্দা পড়ে গিয়েছিল!