Logo

রংপুরে বুথ থেকে টাকা চুরি, ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেফতার

অনিন্দ্য বাংলা
রবিবার, নভেম্বর ২১, ২০২১
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: রংপুর নগরীর একটি এটিএম বুথ থেকে ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় আবু রায়হান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের রংপুর শাখায় অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ৬ অক্টোবর। দীর্ঘ সময় তদন্ত শেষে চুরির আসল রহস্য উদঘাটন হয়েছে।গতকাল শনিবার (২০ নভেম্বর) রাতে রংপুর নগরের ডিসির মোড় এলাকা থেকে আবু রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়।

আজ রবিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে পিবিআইয়ের রংপুর জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ।

জানা যায়, আবু রায়হান কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ওমানন্দ গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলায় প্রাইম ব্যাংকের শেরপুর শাখায় ছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রংপুর প্রেসক্লাবের বিপরীতে ধর্মসভা মন্দিরের পাশের ভবনের নিচতলায় অবস্থিত প্রাইম ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা অজ্ঞাত হ্যাকার, চোর, ই-ট্রাঞ্জেকশন, অথবা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে চুরি হয়েছে দাবি করা হয়।ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ওই মামলাটি রংপুর পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। এরপর শুরু হয় অনুসন্ধান। অবশেষে বের হয় এটিএম বুথ থেকে এসব টাকা চুরি হওয়ার রহস্য।পিবিআই তদন্তে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আবু রায়হান বগুড়ায় বদলি হওয়ার পরও তিনি গত বছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রাইম ব্যাংক রংপুর শাখায় কর্মরত ছিলেন।

১৭ জুন এটিএম বুথ বিকল হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনবার ভল্টে লোড দেওয়া হয়। প্রথম দিন টাকা লোড দেওয়ার পাসওয়ার্ড বহনকারী সিনিয়র অফিসার মো. ফরহাদ ও আবু রায়হান উপস্থিত ছিলেন। এরপরের বার আবু রায়হান ও ব্যাংকের ফ্যাসিলিটিজ স্টাফ মিলন মিয়া ছিলেন।

আবু রায়হান সেদিন এটিএম বুথে উপস্থিত হয়ে মিলনের মোবাইল ফোন থেকে সিনিয়র অফিসার ফরহাদের কাছ থেকে রক্ষিত পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে ভল্টের ডোর খুলে টাকা লোড দেন।সর্বশেষ তৃতীয়বার ভল্টে টাকা লোড করার আগে আবু রায়হান ব্যাংকের অভ্যন্তরে ফরহাদের কাছ থেকে চিরকুটে পাসওয়ার্ড লিখে নিয়ে ৩০ লাখ টাকা টাকা বুথে নিয়ে গিয়ে ভল্টে লোড দেন। তিন দফায় ভল্ট লোডের সময়ই টাকা চুরির ঘটনাটি ঘটে।গ্রেফতারকৃত আবু রায়হানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।