Logo

সেনাবাহিনীতেই ফিরে যাচ্ছেন  মমেকহা  পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসিরউদ্দিন   

অনিন্দ্য বাংলা
শুক্রবার, মে ২৯, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক :  সেনাবাহিনীতেই ফিরে যাচ্ছেন  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন আহমেদ।

চুরি, দালাল, দুর্নীতির সাম্রাজ্যের সেই মমেক হাসপাতালকে যিনি অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে করে এক আধুনিক মানসম্মত হাসপাতাল বিনির্মাণ করেছিলেন,

সেই বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসির উদ্দীন আহমেদকে আজ সশস্ত্র বাহিনীতে বদলি করেছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার (মে ২৮) এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলী আদেশ দেয়া হয়।

সম্প্রতি হাসপাতালের নতুন ভবনকে করোনা হাসপাতাল করার প্রস্তাব করা হয়।

প্রস্তাবে উচ্চপর্যায়ের অনেকের মত থাকলেও বেকে বসেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন।

নীজ হাতে তিলে তিলে গড়ে তোলা হাসপাতালটিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচাতে তিনি উদগ্রীব হয়ে যান।

তিনি বলেন, একাধিক বিকল্প থাকার পরও নতুন আটতলা ভবনকে করোনা হাসপাতাল করার ঘোষণা আত্নঘাতী ছাড়া আর কিছুই নয়।

এটাই ছিলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বাচাতে উনার শেষ লড়াই।

হাসপাতালটি ধংস হলে শহরের সব প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফার্মেসি জমে উঠবে আবার!

আবারো, সব ঔষধ বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে কিনে চিকিৎসা করাতে হবে।

আবারো, হাসপাতালে রোগীর সাথে শুধু পরিচয় হবে, চিকিৎসা হবে শুধু বাইরের প্রাইভেট ক্লিনিকে।

আবারো, সরকারি কোন ঔষধ আর হাসপাতালে পাওয়া যাবে না। সব সরকারি ঔষধ পাওয়া যাবে শহরের নামি-দামি ফার্মেসিগুলোতে।

উল্লেখ্য, গত চার বছরে নতুন ভবনে তিল তিল করে গড়ে তোলা হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ক্যাথল্যাব, করোনারি কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ ও ডায়ালাইসিসসহ আধুনিক প্রযুক্তি ও চিকিৎসা সেবার ওয়ার্ড ইউনিট।

করোনা হাসপাতালে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এসব সেবা ভেঙে পড়তো, ধ্বংস হয়ে যেতো মূল্যবান সব মেশিনারিজ সামগ্রী।

শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের হস্তক্ষেপে নতুন বিল্ডিংকে করোনা হাসপাতাল বানানোর উদ্যোগ থেকে সড়ে আসে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ ফজলুল করিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত করা হয়।

কেমন ছিলেন ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন আহমেদ?

দৈনিক কালের আলো একটি প্রতিবেদনে লিখেছে-

কবি আলী ইউসুফ তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখেছে,

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন ‘দ্যা চেঞ্জ মেকার’

 প্রকাশিতঃ 6:58 pm | May 02, 2018

বিশেষ প্রতিবেদক, কালের আলো:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ। একটি নাম, একটি সংগ্রাম এবং একটি ইতিহাস। পূর্ণ আলোয় উদ্ভাসিত, আলোকিত মহাপ্রাণ। আপাদমস্তক ক্যারিশম্যাটিক মানুষ। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর এ কর্মকর্তা ময়মনসিংহের চিকিৎসা সেবায় যুগান্তকারী এক পরিবর্তন এনেছেন।

ঘাম-শ্রম, মেধা, শক্তি-সামর্থ্যরে অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে গরিব ও সাধারণ মানুষের পরম ভরসার স্থলে পরিণত করেছেন পাহাড়সম সমস্যা, অনিয়ম আর সঙ্কটে এক সময়কার ডুবন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে।

বিরল মহানুভব এ মানুষটি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মানে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন তেমনি নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়েও হাসপাতালটির সার্বিক পরিবেশও পাল্টে দিয়েছেন। এ কারণেই ময়মনসিংহবাসী তাঁর নামের শেষে যুক্ত করেছে ‘চেঞ্জ মেকার’ উপমা।

সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতায় গত আড়াই বছরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ এ হাসপাতালটিতে একটি ‘টিমওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছেন। স্বার্থান্বেষী গুটিকয়েক চিকিৎস ছাড়া সবার সহযোগিতা পেয়েছেন। অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছেন ময়মনসিংহবাসীর।

তাঁর নির্লোভ, নিরহঙ্কারী ও দক্ষ নেতৃত্বের গুণে ঘুম ভাঙিয়েছেন হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসবের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে হাসপাতালটির ওষুধ পাচার ঠেকিয়েছেন। রোগীদের শতভাগ ওষুধ সুবিধা নিশ্চিত করেছেন।

অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নামমাত্র খরচায় উপহার দিয়েছেন সব ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা ওয়ান স্টপ সার্ভিস সুবিধার সুফল ভোগ করছে সবাই। হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা বিশেষণে বিশেষায়িত এসব শব্দমালাকেও হিমাগারে পাঠিয়েছেন। দালালদের হাসপাতাল ছাড়া করেছেন।

আমুল পরিবর্তনের এ দৃশ্যপট, উন্নয়নের চালচিত্র যখন সাফল্যের মুকুট পরিয়েছে বর্ষীয়াণ এ সেনা কর্মকর্তার মাথায় ঠিক তখনই লুটেপুটে খেতে অস্থির চক্রটি নতুন কৌশলে দৃশ্যপটে আবির্ভূত হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য একটিই বিরল মহানুভব এ হাসপাতাল পরিচালককে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া।

হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি ময়মনসিংহবাসীর কাছে ‘সুচিকিৎসা সেবার’ অন্তরায় হয়ে দাঁড়ানো অনৈতিক সুবিধা না পাওয়া এ মহল বিশেষকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবেই সনাক্ত করেছে ময়মনসিংহের সচেতন নাগরিক সমাজ।

প্রচার-প্রপাগান্ডায় নির্লোভ এ মানুষটির গায়ে তাঁরা জুড়ে দিতে চাচ্ছেন দুর্নীতিবাজের ‘কলঙ্ক তিলক’। অবশ্য ইতোমধ্যেই তাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সতর্ক করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ।

নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘আমাকে দুর্নীতিবাজ, কোটি, কোটি টাকা আত্নসাতকারী হিসেবে যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। কিন্তু খুব অল্পদিনের মধ্যেই সব প্রমাণসহ কারা দুর্নীতিবাজ ইনশাল্লাহ প্রমাণ জনগনের কাছে পৌঁছে যাবে।’

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া হাসপাতাল পরিচালকের এ স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়েছে। এ স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক পরিচালক ও নগরীর আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক আফজালুর রহমান লিখেছেন- ‘কোন গোষ্ঠীর স্বার্থে এই মিথ্যে প্রতিবেদন সেটি সুশীল সমাজ জানে। মচিমহাকে স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের হাতে ফিরিয়ে নিতে কত রকম কসরত আমরা দেখবো।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের এই বৃহত্তম চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রটি রক্ষা করতে পথে নামবে লক্ষ জনতা। একজন পরিচালককে নানা রকম বিনিয়োগ করে সড়িয়ে দেয়া যাবে কিন্তু লক্ষ জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করার কোন ফন্দি নেই। যখন মচিমহা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে মডেল হয়ে ওঠছে তখন অমন রঙিন আক্রমন? আমরা তো জানি প্রতিষ্ঠানটিকে জনস্বার্থে শতভাগ ব্যবহার করার সুযোগ যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার এসব পায়তারা সফলতার মুখ দেখবেনা।’

এ স্ট্যাটাসটির ঠিক আগে হাসপাতাল নিয়ে ওই মহল বিশেষের আরেকটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ফাঁস করেছেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ নিজেই। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের বিনামূল্যে শতভাগ ওষুধ সুবিধা দেশের সবক’টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যেই একটি মডেল। কিন্তু এতেই গাত্রদাহ হওয়া চক্রটি নতুন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। হাসপাতাল পরিচালক সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডাস্টবিনে ফেলে রাখার চিত্রটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে লিখেছেন- ‘নুতন ষড়যন্ত্র। ইদানীং হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ডাস্টবিন এ দামি দামি মেয়াদ সম্পন্ন ঔষধ,ইনজেকশান, সেলাইন ফেলে দেয়া হচ্ছে। কারা কি উদ্দেশ্য নিয়ে এ কাজটা করছে তা বুঝতে পারছি না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’এ পোস্টে দেশের ২৪ ঘন্টার নিউজচ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের ময়মনসিংহের ক্যামেরা পার্সন দেলোয়ার হোসেন মন্তব্য লিখেছেন এমন- ‘স্যার নতুন কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকারীরা শুরু করেছে। কারণ যে পরিমান ঔষধ, ইনজেকশান, সেলাইন ময়মনসিংহ হাসপাতালে রোগীকে দেওয়া হয়, আমার মনে হয় বাংলাদেশের আর কোন হাসপাতালে এত পরিমান ঔষধ দেওয়া হয় না। ময়মনসিংহের হাসপাতাল থেকে আগে কোটি কোটি টাকর ঔষধ উধাও হয়ে যেত। স্যার কোটি কোটি টাকার ঔষধ ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের সামনে রোগীদের দিয়ে দিচ্ছেন মাথাত ষড়যন্ত্রকারীদের নষ্ট হবেই।

কবি আলী ইউসুফ লিখেছেন-

ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন শাসক হিসেবে কঠোর,
মানুষ হিসেবে মানবিক…….

ব্রিগেডিয়ার নাসির উদ্দিন পরিচালক হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই তাঁর নাম এই জনপদে ব্যাপক আলোচিত।
অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা,রোগিদের ওষুধ ও খাবার চুরি,কর্তব্যে অবহেলা, দালালদের দৌরাত্ম্যো যখন এই অঞ্চলের মানুষের নাভিশ্বাস চরম পর্যায়ে তখনই তিনি এলেন দূত হয়ে।
তিনি হাসপাতালের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই একে একে সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে একরকম লড়াই করে চলছেন। এরই মধ্যে তিনি এই হাসপাতালকে এনে দিয়েছেন দেশ সেরার মর্যাদা।
শুধু দেশেই নয় দক্ষিণ এশিয়ার সরকারি হাসপাতাল গুলোর জন্য মচিমহা এখন রোল মডেল।
সকল অনিয়ম দূর করতে ব্রিগেডিয়ার নাসির সাহেবকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হয়েছে।
প্রথমেই এসব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী,ডাক্তার, নার্সদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে তাঁর এ্যাকশন শুরু করেন।
এখন এই হাসপাতালে রোগীর যতটুকু সম্ভব সুচিকিৎসা পাচ্ছে, বিনামূল্যে প্রায় সকল ওষুধই হাসপাতাল থেকেই দেয়া হচ্ছে যা আগে এ অঞ্চলের মানুষ স্বপ্নেও চিন্তা করেনি!
খাবার পাচ্ছে।
কিন্তু তিনি কুলিয়ে উঠতে পারছেন না এসব অসাধু চক্রের সাথে। প্রতিনিয়ত ভিতরে বাহিরে সকল চক্রের সাথে তাঁকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
এই সব করতে পারছেন তিনি ন্যায়ের পথে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় আপোষহীন এবং কঠোর অবস্থানে থাকবার কারণে ।

তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফেরাতে যতটুকু কঠোর হওয়া প্রয়োজন তিনি ততটুকুই কঠোর।

কঠোর এই মানুষটি ব্যাক্তি জীবনে খুবই মানবিক এবং দয়ালু। তিনি তাঁর আয়ের অনেকটা অংশই বিলিয়ে দেন মানব কল্যানে। নিরবে, নিভৃতে, আড়ালে তিনি বহু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
অসহায় ও ভাগ্য বঞ্চিত মানুষদের ভাগ্য ফেরাতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেন নেপথ্যে থেকে।
এই ঘুনে ধরা সমাজ ব্যবস্থায় এখন সর্বত্র দরকার ব্রিগেডিয়ার নাসির সাহেবেরমত কঠোর এবং মানবিক মানুষ। যারা তাঁদের দায়িত্বকে পবিত্র আমানত হিসেবে গ্রহন করবেন।
নাসির সাহেবরা হয়ত আমাদের মাঝে যুগ যুগ থাকবেন না তবে তাঁদের কর্ম ও কর্মব্যবস্থাপনা জেগে থাকবে অনন্তকাল….

0

সাফরান আহমেদ তাঁর ফেসবুক ওয়ালে লিখে ছিলেন-

(বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী সংবাদটা ছাড়িয়ে দিন)
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসির উদ্দিন অাহমেদ, পরিচালক, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

এই লোকটিকে বদলি করার জন্য ময়মনসিংহের বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলো একাট্টা। এজন্য নাকি তারা ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা ফান্ড গড়ে তুলেছে, ঘুষ হিসেবে এই ফান্ড ব্যবহার করা হবে, তাকে বদলির জন্য৷

এরকম খবর পেয়ে, ময়মনসিংহবাসী রাস্তা অবরোধ করে, তার বদলি ঠেকানোর জন্য, তার অপরাধ, তার সততার সহিত ভালো কাজের জন্য, ময়মনসিংহের বেসরকারী হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার এবং ঔষধ ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে!

তার অপরাধ:
》যেকোন ধরনের ঔষধ হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে! অার কোন ঔষধ না পাওয়া গেলে, তার নাম্বার দেওয়া আছে, তাতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে!
》সব ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যবস্থা হাসপাতালেই করা হয়েছে, যাতে করে ঔষধ বা কোন পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য রোগীদের হাসপাতালের বাইরে যেতে না হয়৷
》তার অপরাধ, হাসপাতালকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে!
》বেশির ভাগ হাসপাতালে এপ্রোন পড়া না থাকলে বুঝা যায় না, কে ডাক্তার! কে নার্স! কে ঝাড়ুদার! কে কর্মকর্তা! কে দালাল! তার অপরাধ, সবার অাইডেন্টিটি নিশ্চিত করা হয়েছে৷

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার পর, তার ভালো কাজের অল্প কিছুই তুলে ধরতে পারলাম, আজ তার কাজের জন্য, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আজ চিকিৎসার জন্য, সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, অনুকরণীয় এবং অনুসরণীয়!!!

দেশ পরিবর্তনের জন্য শুধু সরকার না, সরকারের সাথে এরকম সৎ, নির্মোহ মানুষও খুব দরকার, অাসলে কিন্তু এটাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য, কিন্তু সততা ও নিষ্ঠার সাথে কয়জন পালন করছে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য! তিনি পালন করছে বলেই, তাকে একটু তুলে ধরতে ইচ্ছে করলো, সবশেষে এই সজ্জন মানুষটির কাজের জন্য রইলো, দোয়া, শুভ কামনা, অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা৷