Logo

আমিত্বকে গিলে খাচ্ছে নোভেল করোনা!

অনিন্দ্য বাংলা
শুক্রবার, এপ্রিল ২৪, ২০২০
  • শেয়ার করুন

আমিত্বকে গিলে খাচ্ছে নোভেল করোনা!

১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় সংখ্যালঘু টাট্‌সি গোষ্ঠী এবং সংখ্যাগুরু হুটু গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ গণহত্যায় রূপ নেয়। ৬ই এপ্রিল, ১৯৯৪ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই গণহত্যা সংঘটিত হয়। অন্তত ৫০০,০০০ টাট্‌সি এবং এক হাজারেরও বেশি হুটু নিহত হয়। অধিকাংশ সূত্রমতে মোট নিহতের সংখ্যা ৮০০,০০০ এর কাছাকাছি বা ১,০০০,০০০ এর কাছাকাছি। বিশ্ব মিডিয়ার নানান খবরের ভিড়ে এই গণহত্যার সংবাদ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে খুব কমই স্থান পেয়েছিল। এই সুযোগেই গণহত্যা বিভৎস রূপ ধারণ করেছিল।

রুয়ান্ডার প্রসংগটি সংগত কারণেই অাজকে বলা! এতোগুলো মানুষের মৃত্যু পৃথিবীর কোন দেশকে স্পর্শ করে নাই। এমনকি জাতিসংঘ এটিকে গণহত্যা বলে স্বীকারই করেনি দীর্ঘদিন। এর পিছনে অবশ্য অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে! স্বীকার করলে পদক্ষেপ নেয়া লাগতো। শুধু শুধু পয়সা অার জনবল খরচ করে লাভ কী! উল্টো জাতিসংঘের নির্দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের শান্তি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাসদস্যদের এবং নাগরিকদের রুয়ান্ডা থেকে সরিয়ে নিয়ে চুপচাপ শুধু তামাশা দেখে গেছে।

রুয়ান্ডার মতো এইরকম ২০০ টি উদহারণ অাছে গত ২০০ বছরে, যা মানুষ সৃষ্টি করেছে। গত ২০০ বছরে নিজের ক্রীতদাসকে পিটিয়ে মারার সংখ্যা অাজকে করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের সংখ্যার চেয়ে বেশী হবে। সাদা মানুষ কতৃর্ক কালোদের শারীরিক নিপীড়নের ইতিহাস গত শতাব্দী পর্যন্ত ছিলো। এখনো টিকে অাছে কালোর উপর সাদার শোষণের স্রোতধারা।

দেশ দখল কিংবা রক্ষার নামে হাজার বছর মানুষের রক্ত নিয়েই খেলা হয়েছে। কেবল তেলের জন্যে, খনিজ সম্পদের জন্যে মানুষকে হত্যার ফর্দ অনেক বিস্তৃত। ধর্মের নামে হত্যা, সেটি বাদই দিলাম! এই অনিবার্য হত্যা বন্ধ করার ঔষুধ অাগামি ১০০০ বছরেও অাবিষ্কার হবে না বলেই অামার ধারণা।

কেবলি নিজের মধ্যে প্রশ্ন জাগে! এতো অপমৃত্যু, হত্যার স্বাক্ষী যে পৃথিবী তা করোনার কারণে এতো ভীতসন্ত্রস্ত কেনো? এতো নতজানু পৃথিবী অাগে কখনো কেউ দেখেছে? অাস্ফালন নাই বিশ্ব মোড়লদের! দূবর্লের উপর সবলের নিয়ন্ত্রণ দিয়ে ইতিহাসের হত্যাযজ্ঞকে জাস্টিফায়েড করা মনুষ্যজাতি অাজ স্টুপিডের মতো অাচরণ করছে! হা হা হা..
কারণ! নোভেল করোনা শোষক-শোষিত, অামি-তুমি-তাহারা, হিন্দু-মুসলিম-নাস্তিক বিবেচনা করে না। অামিত্ব অনিরাপদ বলেই সভ্যতার মুখোশ পরা মানুষেরা অাজ ভীতসন্ত্রস্ত।।

-তুহিন তালুকদার
ময়মনসিংহ।।