Logo

ইফতারে স্মুদি, না জুস?

অনিন্দ্য বাংলা
বুধবার, মে ১৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

গ্রীষ্মকালীন ইফতারে পানীয় হিসেবে অনেকেরই পছন্দ স্মুদি, অনেকের পছন্দ জুস। তবে অনেকেই স্মুদি ও জুসকে একই মনে করলেও তৈরির প্রণালী ও পুষ্টিগত দিক দিয়ে এ দুটির মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে।

জুস হলো ফল বা সবজির শাঁস থেকে জুসার বা হাত ব্যবহার করে সংগৃহীত রস। কখনো কখনো ব্লেন্ড করা সবজি বা ফল ছেঁকে রস সংগ্রহ করা হয়। আর আস্ত ফল বা সবজি ব্লেন্ড করে তৈরি করা পানীয় হলো স্মুদি। এটি আস্ত ফল বা সবজির অর্ধতরল রূপ। নিচে এসবের গুণাগুণ দেওয়া হলো—

♦ জুসে যেহেতু শাঁস থেকে শুধু রস সংগ্রহ করা হয় সে জন্য এই পানীয় থেকে ফাইবার ও শাঁস বাদ পড়ে যায়। তাই জুসে আস্ত ফল বা সবজি থেকে ফাইবার অনেকাংশেই কমে যায় এবং কখনো কখনো কিছু পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি তৈরি হয়। আর স্মুদি হলো আস্ত ফল বা সবজির অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে কঠিন থেকে অর্ধতরল করা রস। এতে পুষ্টি উপাদানের তেমন কোনো পরিবর্তন বা ঘাটতি ঘটে না।

♦ কোনো বিশেষ রোগে ভোগাকালীন ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার হজমে সমস্যা হলে বা কোনো বিশেষ ডায়েট মেনে চলাকালে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলতে চাইলে তাঁদের খাদ্যতালিকায় স্মুদির পরিবর্তে জুস সংযুক্ত করা ভালো।

♦ জুসের গঠনের জন্য এটি দেহে পরিপাক বা হজম হওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটি পান করার সঙ্গে সঙ্গে দেহে শোষণ হয় যাতে হঠাৎ সুগার লেভেল বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে স্মুদি দেহে পরিপাক হয় এবং শোষণের জন্য আস্তে আস্তে পুষ্টি উপাদান অপসারণ করে। সে জন্য যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ ও সুগার লেভেল অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাঁদের জুসের পরিবর্তে স্মুদি নির্বাচন করা উচিত।

♦ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য জুসের তুলনায় স্মুদি উত্তম। কারণ স্মুদিতে থাকা ফাইবার মল তৈরিতে সাহায্য করে।

♦ যাঁরা ওজন কমাতে আগ্রহী, তাঁরা খাদ্যতালিকায় জুসের পরিবর্তে স্মুদি রাখবেন। স্মুদিতে ফাইবার ও শাঁস থাকে, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে এবং ক্ষুধার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা মিটিয়ে এক বেলার সম্পূর্ণ খাবারের পরবর্তিত রূপ হিসেবেও খাদ্যতালিকায় সংযুক্ত করা যায়।

উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেহের ধরন ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে খাদ্যতালিকায় সংযুক্ত করা যেতে পারে জুস বা স্মুদি।

তৈরির সময় লক্ষ্য রাখুন
♦ কিছু পুষ্টি উপাদান আলো ও বাতাসের সংস্পর্শে এলে নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য স্মুদি বা জুস যেটিই পান করুন না কেন, তৈরি করার পর বেশি সময় বাইরে রাখবেন না। পান করার কিছু সময় আগে তৈরি করে নেবেন।

♦ গাজর, বিট রুট ইত্যাদিতে স্টার্চ বেশি পরিমাণে থাকার কারণে এগুলো অন্য ফল বা সবজির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিশে যায় না। সে জন্য একাধিক সবজি বা ফল মিশিয়ে জুস বা স্মুদি তৈরির সময় এ বিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিত।