১. একটি উপকূলদৃশ্য
টলোমলো উপকূল
পললভোজী তরঙ্গের ঘন ঘন দ্রোহ
দক্ষিণের গতর-সাতারু ঝড়
ঝড়ে গাছের জীবন ভাঙে
ভাঙে বাল্যশিক্ষার আধখানা মক্তব
রোদ রোদ মহড়ার জন্যেই বেঁচে থাকে ত্রস্ত জনপদ,
আলো-অাঁধারি আকাশ এখানে এক প্রলুব্ধ-নাবিক
আচমকা চঞ্চল হয় প্রখর দুর্গত-দেহগুলো
ঘুঘুর মতো নিঝুম বধূটির
ঝড়-ঝঞ্ঝার এই ভয়
একেবারেই দুর্বিষহ
প্রতিবেশী রমজান তাকে শুনিয়েছিলো
অভয়াশ্রমের গল্প…
নব-বিস্ময়ের ভাঁজে বদনাম রেখে
রমজানের ফাগুন-করতল নিয়ে
একদিন
উড়াল সে
দেবেই–
নিশ্চিত!
২. তরঙ্গভঙ্গ
রোদ-দেখা ইলিশের মতোই নিথর-অন্ধ এই লোকালয়
যমজ বৈষম্যের অভিজ্ঞ উস্কানি
বাড়তি অপরাধী আমিও…
সারি সারি চোখ
যতক্ষণ ওই না-দেখা চশমার
মাঝখানটায়
কালো মগজের নিবাস–
অস্থির-উপকূল, বাঞ্ছিত-সব অসঙ্গতির সমাবেশ
ভীষণ চকচকে সমুদ্রের পাশে
ধানি-আকাশটিতে ঘরমুখো কোনো চিহ্নই নেই;
নগ্নতাকে না-ঢাকা ধাক্কাধাক্কির সমাজ
তাদের রুচি সুরক্ষায়
বদ্ধপরিকর
অদ্ভুত জলের কুয়োপাড়ে
আমিই কেবল বিস্তারিত-অবাঞ্ছিত
মনে পড়ে–
সত্যিকার সুখ-আসক্ত-উন্মুখ কতো একা!
৩. তালেবর
লেলিয়ে দে’য়া কুকুর নিছক হুকুমের উল্লাসেই
অদৃষ্ট আক্রমণে ইতর প্রতিপক্ষ
বেপরোয়া
আপনি একজন দেওয়ান–
প্রভাব ও প্রতাপশালী
মোসাহেবদের কপট আবদারে
আপনারও
সদম্ভ সংহতি
ভাবুন তো–
জন্তুটির ওই গা-ঘেঁষা মঞ্চে
আপনার চমকটি কোথায়!
৪. সময়ের চে’ চতুর বালিকা
পৃথক পেখম মেলবার চেষ্টায়
একটি স্বতন্ত্র-প্রস্তুতি নিয়ে এগুচ্ছো–
বিষয়টি কেমন যেনো খটকা খটকা লাগছে
আত্মহারা দিনগুলোর পেটের ভেতর থেকে
সরে দাঁড়াবার মতো
আত্ম-ধ্বংসী মেয়েতো তুমি নও
হতে পারে দীর্ঘ ফর্দবোঝাই নতুন কোনো আশির্বাদ ভিড়েছে সমকালে
অথবা হতে পারে
সৌভাগ্যের ঘরদোর সইতে চাচ্ছে না আমার বামন সত্তায়
তবুও
সম্ভবত টেকসই কবিতার অনটন-ব্যস্ততায়
একদিন নত হয়ে আসবে আমার দহন অভিলাষ
ভাবছি
আসছে গুন-গুন বসন্তে
তোমার ফুল ও ফলের পিপাসা মেটাবে কে!
সময়তো হৃদয়কে অতীত করে ছুটে যায়
তুমি কি সময়ের চে’ চতুর বালিকা?
মতামত লিখুন :