Logo

করোনার চিকিৎসা হাঁপানির ওষুধে দাবি মার্কিন ডাক্তারের

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৩, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় থাকার মানেই হয় না। কোভিডের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে সেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)–র নির্দেশিত পদ্ধতি নয়। দাবি, আমেরিকার অস্টিন রাজ্যের এক চিকিৎসকের। ডালাস শহরের চিকিৎসক ডাঃ রিচার্ড বার্লেটের দাবি, তিনি যে–পদ্ধতিতে চিকিৎসা করছেন, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর এই পদ্ধতি মেনেই সাফল্য পাচ্ছে। খরচ কম, এবং অত্যন্ত কার্যকর এই পদ্ধতি। কিন্তু চীনকে অন্ধভাবে অনুসরণ করে হু যে প্রোটোকল বাতলে দিচ্ছে, আমেরিকা, ইতালি–সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তা মানতে গিয়ে চড়া মূল্য দিচ্ছে। মৃত্যু হচ্ছে বহু রোগীর। লক্ষণীয়, ডাঃ বার্লেটের মত মনে ধরছে ট্রাম্পের সমর্থকদের, রিপাবলিকানদের। কারণ, হু এবং চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ এবং করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের কর্তা ডাঃ অ্যান্থনি ফাউচির নীতির বিরুদ্ধে তিনি। তাঁর অনুসৃত পদ্ধতি মানলে নাকি রাতারাতি থমকে যেত আমেরিকার মৃত্যুমিছিল।
কিন্তু বার্লেটের দাওয়াইটি কী? স্টেরয়েড জাতীয় একটি চালু ওষুধ, যা হাঁপানির রোগীদের দেওয়া হয়। ইনহেলার নয়, নেবুলাইজারের মাধ্যমে এটি প্রয়োগ করছেন তিনি। আর দিচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিকও, যাতে অন্য কোনও সংক্রমণ অর্থাৎ সেকেন্ডারি ইনফেকশন না ঘটে। মিনিট পাঁাচেকের জন্য চলে নেবুলাইজার। তাতে প্রথমেই শ্বাসকষ্ট কমে, রোগী আরাম পান। তারপর ক্রমে জ্বরও নেমে যায়। ডাঃ বার্লেটের দাবি, তিনি যাঁদের কোভিডের চিকিৎসা করেছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন কেমোথেরাপিতে থাকা ক্যান্সারের রোগী, ৫০ বছর ধরে সিগারেট খাওয়া বাইপাস সার্জারি হওয়া রোগী, আছেন থাইরয়েড ইত্যাদির সমস্যায় থাকা রোগীও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর রোগীদের কাউকেই নাকি মরতে হয়নি।
২৮ বছর ধরে টেক্সাসে ডাক্তারি করছেন ডাঃ বার্লেট। টেক্সাসের গভর্নরের উপদেষ্টা পদেও কাজ করেছেন। সিবিএস টিভি–তে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁকে দেখা যায়। বার্লেটের বক্তব্য, কোভিড মূলত ফুসফুসের প্রদাহ সংক্রান্ত রোগ। অর্ধেক মানুষ হয়তো আক্রান্ত হয়েও জানেন না, তাঁদের কোভিড হয়েছে। অন্যদের মধ্যেও সবার অবস্থা গুরুতর নয়। তবে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। হু–এর প্রোটোকল মেনে লকডাউন চালানো, রোগীদের অবস্থা গুরুতর না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে রেখে দেওয়া, এসবের কট্টর সমালোচক বার্লেট। তাঁর নীতি, তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করে, চিকিৎসা শুরু করে দাও। আর ভ্যাকসিন বেরোলেই যে কাজে আসবে, ভাইরাসের চরিত্র বদলে যাবে না, তা’ই বা কে বলবে।
বলাই বাহুল্য চিকিৎসক মহলের যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে বার্লেটের মত নিয়ে।