স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামী খায়রুলকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত খায়রুল হত্যাকান্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে শনিবার আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে এই হত্যাকান্ডে আরো চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলা বিএনপির (একাংশের) যুগ্ম আহ্বায়ক ও মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, জাহাঙ্গীর, রাসেল ও মজিবুর রহমান।পুলিশের একটি সুত্র জানায়, মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের অন্যতম হোতা খায়রুলকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতারকৃত খায়রুল আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, আলোচিত এই হত্যাকান্ডের মামলাটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করি।

গৌরীপুর পৌরসভার পানমহালে পৌর মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্র ১৭ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে গণসংযোগ শেষে আব্দুর রহিমের দোকানে নির্বাচনী আলাপচারিতাকালে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার দুই কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা হয়। গত ২২ অক্টোবর আলোচিত এই মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তভার পেয়ে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে ডিবি পুলিশের চৌকসদল অভিযানে নামেন।

অভিযানে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ ফাগুয়া হাওড় এলাকা থেকে শুক্রবার ভোরে হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী আসামী মোঃ খায়রুলকে গ্রেফতার করে।

ডিবির ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত খায়রুলকে শনিবার আদালতে পাঠানো হলে, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবা আক্তারের কাছে হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

এর আগে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদেও খায়রুল হত্যাকান্ডের বিশদ বর্ণনা দিয়ে নিজের জড়িত থাকা এবং হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া অন্যান্যদের তথ্য প্রকাশ করে।

এ হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, রাসেল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও মজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে রিমান্ডে এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।