অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর পি জে কে উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ববধানে নির্মিত বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধের জন্য গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীর পক্ষে সুমন চৌধুরী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নিম্ন মানের ইট, মরিচা পড়া রড বাইন্ডিংসহ বিভিন্ন নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিম্ন মানের ইট, ইটের খোয়া ও ইটের রাবিস, বালু বিদ্যমান রয়েছে এবং তথ্য অধিকার আইনানুযায়ী সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে নেই।

উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম গোলাম সাব্বির জানান,  ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাফেজ এন্টারপ্রাইজ কাজ পায়। প্রাক্কলিত বরাদ্ধ ১কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। কাজ শেষ হওয়ার আগেই পর্যায়ক্রমে তিনটি বিলের মাধ্যমে ৯০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, নির্মাণ কাজ সম্পর্কে আমরা ততটা বুঝিনা, ইঞ্জিনিয়ার আমাদের যেভাবে বলেছেন আমরা চেষ্টা করেছি সেভাবে কাজ করানোর জন্য। তবে ইটের ভাটাতে ভালো ইট না থাকার কারণে উত্তর পাশের দেয়ালে নিম্নমানের ইট ব্যাবহার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ন কাজগুলি হয়ে গেছে। এখন সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে, এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি জানান, এর আগে যখন কোন কাজে অনিয়ম চোখে পরেছে সাথে সাথে তা ঠিক করে করিয়েছি।  করোনার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ বন্ধ আছে। এখন এলাকাবাসী কাজে বাধা প্রদান করেছে শুনেছি। যেভাবে কাজটি ভালভাবে হয় সেই চেষ্টা করবো।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফ আলী জানান, কাজে অনিয়ম হবার কোন সুযোগ নেই। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, মরিচাযুক্ত রড পরিবর্তন করেই  ছাদ ঢালাই দেয়া হবে। আর যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি দেখবো। কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তিনি আরো জানান ময়মনসিংহে এরকম আরো দুইশত স্কুল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।