Logo

চিরায়ত বঙ্গবন্ধু – সাজ্জাদুল হাসান

অনিন্দ্য বাংলা
সোমবার, আগস্ট ২৩, ২০২১
  • শেয়ার করুন

স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার ৪৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আমাদের মধ্যে যাদের বঙ্গবন্ধুকে দেখার বিরল সুযোগ হয়নি অথচ যারা বঙ্গবন্ধুকে আরও বিশদভাবে জানতে চাই, তাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, বাঙালী জাতি তথা সারবিশ্বের শোষিত মানুষের জন্য তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও ত্যাগের বিশালতা জানার অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে তাঁর লেখা বই এবং অমৃত-ভাষণ সম্ভার। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে হৃদয়ে লালন করতে হলে তাঁর মহাজীবন পাঠের কোন বিকল্প নেই। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র সূচীপত্রের আগের পৃষ্ঠায় যেখানে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে লেখা একটি ইংরেজী উক্তি উল্লেখ আছে; যা তিনি ১৯৭৩ সালের মে মাসের ৩ তারিখে লিখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্প্রীতির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’

বাঙালিত্বের পরিচয়েই বঙ্গবন্ধু বিশ্ব মানব হয়েছেন। বাঙালিত্বের এই পরিচয় নিয়েই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত। শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’।

বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই যথাক্রমে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ (২০১২), ‘কারাগারের রোজনামচা’ (২০১৭) এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ (২০২০)। বইগুলোর মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সময়ে তাঁর প্রদত্ত ভাষণের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি সারা জীবন বাঙালীর অধিকার এবং মুক্তির জন্যই লড়াই করেছেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চিন্তাধারা বুঝতে হলে প্রথমেই আমাদের মনে রাখা দরকার বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন। জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তিনি বাঙালীর জন্য লড়েছেন। রাজনৈতিক জীবন শুরুর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন কোটি কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। একদিকে অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতা, অন্যদিকে অতুলনীয় বাগ্মিতা- এই দুই গুণে সহজেই তিনি বাংলার নয়নমণি হয়ে ওঠেন। তিনি নিজেই বলেছেন, তাত্ত্বিক আলোচনার চেয়ে দল এবং দলের সাংগঠনিক কাজে তাঁর উৎসাহ ছিল বেশি। তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন, তিনি যখন কলকাতায় ছাত্র ছিলেন তখন আবুল হাশিম সাহেব, মওলানা আজাদ সোবহানী, যিনি একজন দার্শনিক ছিলেন, তাঁকে আমন্ত্রণ করে এনেছিলেন, আমাদের নিয়ে তিনি ক্লাস করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: ‘আমার সহকর্মীরা অধিক রাত পর্যন্ত তাঁর আলোচনা শুনতেন। আমার পক্ষে ধৈর্য ধরে বসে থাকা কষ্টকর। কিছু সময় যোগদান করেই ভাগতাম। আমি আমার বন্ধুদের বলতাম, ‘‘তোমরা পন্ডিত হও, আমার অনেক কাজ। কাজ তো থাকতই ছাত্রদের সাথে, দল তো ঠিক রাখতে হবে।”

প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক থিওরির ভেতরে তাত্ত্বিক হয়ে থাকতে চাননি। শুধু বাংলার মানুষের পাশে থাকতে চেয়েছেন। তিনি সবসময় বাঙালী জাতিসত্তা, মানবপ্রীতি, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মুক্ত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন।

(দুই)

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ (প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ)। তিনি তখন কারাগারে থেকেই দলের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালের ৫ জুন বঙ্গবন্ধু গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানের জনসভা থেকে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবি করে ২১ দফা ঘোষণা করা হয়। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রদান না করা হলে দলীয় সদস্যরা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করবেন। ২৫ আগস্ট করাচীতে পাকিস্তান গণপরিষদে এক বক্তৃতায় তিনি পূর্ববাংলার জনগণের এবং বাঙালীদের বিভিন্ন অধিকারের কথা তুলে ধরে বলেন- ‘ওরা পূর্ব বাংলা নামের পরিবর্তে পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতে চায়। আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি যে, আপনারা এটাকে বাংলা নামে ডাকেন। ‘বাংলা’ শব্দটার একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য।…আপনারা যদি ঐ নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আমাদের বাংলায় আবার যেতে হবে এবং সেখানকার জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে তারা নাম পরিবর্তনকে মেনে নেবে কি না।’

হাজার বছর ধরে বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রকৃত ধারাকে রক্ষার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর লড়াই ছিল বাঙালী জাতিকে শোষণের হাত থেকে মুক্ত করা এবং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন:

‘পূর্ব বাংলার সম্পদ কেড়ে নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে কত তাড়াতাড়ি গড়া যায় একদল পশ্চিমা নেতা ও বড় বড় সরকারি কর্মচারীরা গোপনে সে কাজ করে চলেছিল।… আওয়ামী লীগ যখন হিসাব-নিকাশ বের করে প্রমাণ করল যে, পূর্ব বাংলাকে কি করে শোষণ করা হচ্ছে তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠল এবং আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর চরম অত্যাচার করতে আরম্ভ করল।’

১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ছয় দফার দাবি উত্থাপন করেন যা ছিল বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ। পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ৬ দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সারা বাংলায় তিনি গণসংযোগ সৃষ্টি করেন। বঙ্গবন্ধু এবছরের প্রথম তিন মাসে আটবার গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ সালের পর থেকে বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতীয়তাবাদের এ্যাজেন্ডাকে অন্যতম দাবি হিসেবে উপস্থাপন করেন। ছয় দফা আন্দোলন শুরু করার পর বঙ্গবন্ধু পুনরায় কারাবরণ করেন এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় পাকিস্তান সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে (আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা)। ১৯৬৯ সালে প্রচ- ছাত্র আন্দোলনের মুখে আইয়ুব সরকারের পতন হয় এবং বঙ্গবন্ধু কারামুক্ত হন। কারাগার থেকে মুক্তির পর ছাত্রসমাজ তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলার নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’। তিনি বলেন: ‘একসময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে।…একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোন কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই।…জনগণের পক্ষ হইতে আমি ষোষণা করিতেছি- আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’।’

(তিন)

বঙ্গবন্ধু ‘বাংলাদেশ’ ও ‘জয় বাংলা’ এই দুটি স্লোগান ১৯৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করতে আরম্ভ করেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০- এই চার বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে এক সমতলে দাঁড় করিয়েছিলেন। প্রকৃত পক্ষে বাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধুর অলৌকিক তর্জনির দিকে তাকিয়ে ছিল। এক আশ্চর্য কথার মাধুর্য দিয়ে পুরো জাতিকে তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে ডেকেছিলেন। জনগণকে সংঘবদ্ধ করতে তিনি অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ বেছে নিয়ে ছিলেন। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। গণতান্ত্রিক পথে রাজনীতি করতে না পারলে যে কোন দেশ সন্ত্রাসী রাজনীতির দিকে অগ্রসর হতে পারে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। ৬ দফা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানী সরকার যে ভাবে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মিডিয়ায় এইসব খবর প্রচার না করার জন্য নির্দেশনা জারি করে, তখন বঙ্গবন্ধু তাঁর মতামত এভাবে স্পষ্ট করেন: ‘আমার ভয় হচ্ছে এরা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতির দিকে নিয়ে যেতেছে। আমরা এ পথে বিশ্বাস করি না।…আমরা যারা গণতন্ত্রের পথে দেশের মঙ্গল করতে চাই, আমাদের পথ বন্ধ হতে চলেছে।’

(চার)

গণতান্ত্রিক ধারাতেই ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০-এই ২৩ বছর একটা জাতিকে সেই পথেই ধাবিত করেছেন। শাসক শ্রেণী বারবার নির্বাচনের ফলাফলকে বানচাল করে দিয়েছে; তবুও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। কারণ, তিনি ক্ষমতা চাইতেন না; বাংলার মানুষের মুক্তি চাইতেন; বাংলাদেশ নামের দেশ চাইতেন। বাঙালীর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রূপরেখাকে গণতান্ত্রিক এবং মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে মিলিয়ে অর্জিত প্রজ্ঞা দিয়েই বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেছিলেন। সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবানা বলতে বলতে তিনি বলেছিলেন- ‘আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।’

বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি কখনই ক্ষমতাকেন্দ্রিক ছিল না। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের অধিকারের জন্য লড়েছেন। একজন পরিপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে সবসময় তিনি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন; বঞ্চিত মানুষের প্রত্যেকটি ঘটনাই বঙ্গবন্ধুকে স্পর্শ করেছে। দেশে বন্যা কিংবা খাদ্যাভাব অথবা দ্রব্যমূল্য বা কর বৃদ্ধি হলে তিনি খুব দুশ্চিন্তা করতেন। বঙ্গবন্ধুর লেখায় এবং বক্তৃতায় এর পরিচয় পাওয়া যায়। ‘কারাগারের রোজনামচা’য় তিনি লিখছেন: ‘খবরের কাগজে এসেছে…সিলেটের বন্যায় দেড় লক্ষ লোক গৃহহীন, ১০ জন মারা গেছে। কত যে গবাদিপশু ভাসাইয়া নিয়া গেছে তার কি কোনো সীমা আছে। কি করে এ দেশের লোক বাঁচবে তা ভাবতেও পারি না।’

(পাঁচ)

মানব উন্নয়নই ছিল তাঁর প্রধানতম লক্ষ্য। ধনী-গরিবের আকাশচুম্বী অর্থনৈতিক ব্যবধানকে তিনি কখনই মানতে পারতেন না। ১৯৫২ সালে চীন যাবার পর চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে শিক্ষা-কৃষি-সামাজিকতার যে পার্থক্য তিনি দেখেছেন, তা তাঁর মনে গভীর দাগ কেটেছে। এই দুই দেশের পার্থক্য সম্বন্ধে তিনি লিখেছেন: ‘তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হল তাদের জনগণ জানতে পারল ও অনুভব করতে পারল এই দেশ ও এ দেশের সম্পদ তাদের। আর আমাদের জনগণ বুঝতে আরম্ভ করল, জাতীয় সম্পদ বিশেষ গোষ্ঠীর আর তারা যেন কেউই নন।’

(ছয়)

এভাবেই সাধারণ মানুষের বঞ্চনার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সবসময় থেকেছেন সোচ্চার। এছাড়া জীবনের শুরু থেকেই চেতনা বা বিশ্বাসে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ। তার ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার প্রশংসা করে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বলেছেন, Sheikh Mujib was one of the clearest exponents of secularism, from which all countries can learn. বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শান্তিপূর্ণভাবে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করলে স্বাধীনতা আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে। অমর্ত্য সেন বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে আখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন “It is important for the world— not just for Bengal— Bangabandhu can also be seen as Bishwabandhu, friend of the world.”

বঙ্গবন্ধু নিজে যা স্বপ্ন দেখতেন তাই বিশ্বাস করতেন, তাই ধারণ ও লালন করতেন। মানুষ হয়ে তিনি মানুষের কাছে গেছেন; মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়েছেন। সোনার বাংলা গড়বেন এই ছিল তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় যা থেকে তিনি এক বিন্দুও সরে আসেননি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনকালে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের ভেতরে যে মোহনীয় শক্তি রয়েছে, সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই হোক আমাদের সকলের অঙ্গীকার।

লেখক : সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়