Logo

চীনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে করোনার গবেষণা তথ্য চুরির অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের!

অনিন্দ্য বাংলা
বৃহস্পতিবার, মে ১৪, ২০২০
  • শেয়ার করুন

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দ্বন্দ্ব থেমে নেই চীন-যুক্তরাষ্ট্রের। এতোদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ছড়ানো ও তথ্য গোপন করার জন্য চীনকে দায়ী করে আসছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নতুন অভিযোগ, চীনের হ্যাকাররা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরির সংশ্লিষ্ট গবেষণার তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছেন। কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ওই হ্যাকারদের সঙ্গে চীন সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বুধবার সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। খবর বিবিসির।

ইউএস ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এফবিআই) এবং ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, চীনা হ্যাকার ও গুপ্তচররা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন, চিকিৎসা ও পরীক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এ নিয়ে সংস্থা দুটি বুধবার যৌথভাবে একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি। এতে বলা হয়েছে, ‘কভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করা স্বাস্থ্যসেবা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং গবেষণা সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে যে, তারা এখন হ্যাকারদের মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। সাইবার চোররা এ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচালক ক্রিস্টোফার ক্রেবস বলেন, ‘সাইবার জগতে চীনের নেতিবাচক আচরণের অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই এটার প্রতিরোধও সবাইকে নিয়ে করতে হবে।’

তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চীন সমস্ত সাইবার হামলার কঠোর বিরোধিতা করে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, চীন করোনার চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিন গবেষণায় বিশ্বেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কোনো প্রমাণ ছাড়া গুজব ও অপবাদ দিয়ে চীনকে টার্গেট করা অনৈতিক।

প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত পুরো বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ মানুষ। আর প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ। এরমধ্যে চীনে মাত্র ৪৬০০ জন প্রাণ হারালেও এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৮৫ হাজার মানুষের। আর আক্রান্ত হয়েছে দেশটির ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন ল্যাব থেকেই এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। আর শুরুতে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়ানোর গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য দেয়নি।