Logo

চীনের বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন পাস

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, জুন ৩০, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: হংকংয়ের ওপর আরো বেশি আধিপত্য বিস্তারে বিতর্কিত নতুন নিরাপত্তা আইন পাস করেছে চীন। মঙ্গলবার চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির অধিবেশনে আইনটি পাস হয়।
এ আইনকে হংকংয়ের মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থীরা। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশই এই আইনের সমালোচনা করে এসেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএনের
চীন গত মাসেই ঘোষণা দিয়েছিল, হংকংয়ে সহিংসতা ও অস্থিরতা নিরসনে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করতে যাচ্ছে তারা। এ নিয়ে হংকংয়ে বিক্ষোভ ও বিরোধিতার মধ্যেই আইনটি পাস করলো বেইজিং সরকার। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী কোনো কার্যক্রম, কেন্দ্রীয় সরকারের অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের ২৩তম বার্ষিকী ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চীন শাসনে অন্তর্ভুক্ত হয় হংকং। তখন থেকে হংকং ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছে। হংকং চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হলেও নিজস্ব বিচার বিভাগ, আইনসভা ও নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে।

নতুন আইনের ফলে অঞ্চলটির বিচার বিভাগও স্বকীয়তা হারাবে। নতুন আইন সম্পর্কে চীন বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও জানা গেছে, এ আইনের আওতায় হংকংয়ের আইন বেইজিং কেন্দ্রীয় সরকারের আইনে সাংঘর্ষিক হলে, কেন্দ্রীয় সরকারের আইন প্রাধান্য পাবে। এছাড়া হংকংয়ের নিরাপত্তা ও আইন দেখভাল করবে নতুন নিরাপত্তা কমিশন। এ কমিশনের উপদেষ্টা নিয়োগ দেবে বেইজিং। হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের দাবি, এই আইন অঞ্চলটির রাজনৈতিক স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরবে। হংকংবাসী দীর্ঘদিন ধরে যে স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছেন, এই আইন তাকে খর্ব করবে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোও সমালোচনা করে বলেছে, হংকং যে বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল, নতুন নিরাপত্তা আইনের কারণে তা আর পাবে না। ফলে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে হংকংয়ের স্বাধীনতায়। এ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের বিরোধের আরও একটি ধারা শুরু হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।