Logo

 জয়িতা শিল্পী : মানবতার এক ফেরীওয়ালা

অনিন্দ্য বাংলা
বুধবার, এপ্রিল ৮, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক :  করোনা সংকটে সারা বিশ্বজুড়ে করুণ আর্তনাদ। চিকিৎসা, খাদ্য নিয়ে এখন দেশে দেশে চরম হাহাকার। দুর্দিনের এই সর্বনাশা হাওয়া আমাদের দেশেও এসে লেগেছে। এলোপাথারি শুরু হয়েছে সংক্রমণ। আতংক, আশংকায় নির্জীব হয়ে যাচ্ছে বিশাল জনপদ। সংকটের এই অস্থির সময়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, মানবতাবাদী সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগগুলোও কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। আবদ্ধ মানুষদের প্রয়োজনীয় খাবার ও ব্যবহার্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন সামর্থ্যমত তারা।

জয়িতা শিল্পী। একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দেশের এই সংকটকালে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যস্ততা নিয়েই কাটে দিন-রাত, পল-অনুপল। কিন্তু এই নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরেও তাঁর আছে একটি আলাদা জগত, আলাদা পরিসর। সেখানে পুরোদস্তর তিনি একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে কাজের ফাঁকে চিন্তা করেন, কিভাবে সাধারণ মানুষের কল্যান করা যায়। উন্নয়ন চেতনা ও মানবিকতার আকড়ে তিনি হয়ে উঠছেন দু:স্থ, বঞ্চিত, অসহায় মানুষদের জয়িতা। মানবতা ও সেবার মন দিয়ে তিনি জয় করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষদের হৃদয়।

নভেল করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের শিল্পীদের সাহাযার্থে তাঁর এক মাসের রেশন তুলে দেন শিল্পী ও একাডেমি অব ফাইন আর্টস ময়মনসিংহ এর প্রতিনিধি নাজমুল হক লেলিনের হাতে। ময়মনসিংহে এই প্রথম প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসলেন সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য। করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক শিল্পী এখন বেকার হয়ে আছেন। তারা চক্ষু লজ্জায় কারো কাছে যেতে পারছেন না, আবার প্রয়োজনও মেটাতে পারছেন না। বিষয়টি উপলব্ধি করে কবি জয়িতা শিল্পী তাঁর চলতি মাসের রেশন সংস্কৃতিকর্মীদেরকে প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর অফিসের ছয় সহকর্মী কনস্টেবল সোহেল, জাকির, জুয়েল, সাব্বির, ড্রাইভার মোতালেব ও স্টেনো বিল্লাল হোসেনও তাদের সাধ্যমত রেশনের কিছু কিছু অংশ প্রদান করেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে জয়িতা শিল্পী বলেন, মানবতার জয় হোক। করোনা সংকটে অনেকেই  চেষ্টা করছেন সমাজের অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষদের সাহায্য করার জন্য কিন্তু অসহায়  শিল্পীদের জন্য কারোর তেমন চেষ্টা চোখে পড়েনি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্যের পাশাপাশি আমি চেষ্টা করছি সংস্কৃতিকর্মীদের পাশে থাকার।

সাহায্য প্রসঙ্গে নাজমুল হক লেলিন বলেন, মানবতার আরেক কান্ডারী জয়িতা শিল্পী। নভেল করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে শিল্পীদের সাহায্যার্থে মেডাম তার এক মাসের রেশন তুলে দিলেন আমার হাতে। আমার জানা মতে ময়মনসিংহে এই প্রথম প্রশাসনের কেউ এগিয়ে আসলেন দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য। মেডামের জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো। প্রশাসনের অন্যদের নিকট আকুল আবেদন আপনারা শিল্পীদের দিকে দৃষ্টি দিবেন। আমরা একাডেমি অব ফাইন আর্টস ময়মনসিংহ এর নিজস্ব তহবিল থেকে শিল্পীদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি আশা করি আপনারাও আমাদের পাশে থাকবেন।