Logo

বেঁচে থাকার জন্য চাই অফুরান ভালোবাসা !

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, মার্চ ৩১, ২০২০
  • শেয়ার করুন

ওপেন মেসেজ !

-লাইলী ইয়াসমীন

বেঁচে থাকার জন্য ভালবাসা খুব দরকার। মানুষ ভালবাসা চায়, ভালবাসতে চায়। বিশ্বাস করতে চায় কেউ ভালবেসে তার অপেক্ষা করছে। এই বিশ্বাস থেকে মানুষ স্বপ্ন দেখে জীবনের।ভালবাসা মানুষের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। জড়াগ্রস্থতা কাটিয়ে মানুষ নতুন জীবনে প্রবেশের সুযোগ পায়।

আমাদের প্রকৃতি আজ কঠিন রোগাক্রান্ত। কালে কালে ভালবাসাহীন কেটেছে প্রকৃতির। তাকে মানুষ ভালবাসেনি। বরং বার বার তাকে আঘাত করেছে। রোজ তাকে কষ্ট দিয়েই গেছে। প্রকৃতি সেই আঘাত পেয়ে কেঁদেছে, মানুষ তার কান্না শুনেনি। তাকে দয়াও করেনি।

প্রকৃতি তাই আজ বিরুদ্ধাচরণ করছে। প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে। মানুষের সকল শক্তিতে সীমাবদ্ধতার রেখা টেনে দিয়েছে। প্রতিদিন হাজারে হাজারে মানুষ মরছে। একদিন সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষ শেষ হলেও প্রকৃতি ঠিক দাঁড়িয়ে থাকবে। ডাইনোসর যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, প্রকৃতি ছিলই। মানুষ বিলুপ্ত হলেও প্রকৃতি থাকবে।

এখনও সময় আছে প্রকৃতিকে ভালবাসার। তাকে সমঝে চলার। একটু বড় বেশি সোহাগে আদরে তাকে সন্তুষ্ট করার। তবেই যদি প্রকৃতি মানুষের প্রতি দয়াপরবশ হয়।

তাতে যে পরিমান মানুষের প্রাণ যাবে রোগে, তার চেয়ে দ্বিগুণ মানুষ মারা যাবে ক্ষুধায়, শোকে। বিশ্ব অর্থনীতি হেলে দুলে উঠবে। দেশের সীমারেখাও বদলে যেতে পারে। নতুন ক্ষমতাশালী রাস্ট্রের উদ্ভব হতে পারে। হতে পারে ক্ষমতার হাতবদল। মানুষ হয়তো নতুন কোন সভ্যতা খুঁজে নেবে আবাস গড়তে।

এখনই দরকার মানুষের বদলে যাওয়ার। যারা এই যুদ্ধে টিকে যাবে শেষ পর্ষন্ত, তাদের ভুলে যেতে হবে ভেদাভেদ। বিশ্বাস করতে হবে একা একা কখনও ভালো থাকা যায় না। সবারই সমান ভালবাসা প্রাপ্তির অধিকার আছে। ভালবাসতে হবে প্রকৃতিকে। মানুষের মতো প্রকৃতিরও রোগ সারাতে ভালবাসা ছাড়া আর কোন উপায় যে নেই।

একজন শিল্পীর রোজনামচা….

#

ফোনের স্ক্রিনলক দিয়েছি নিজের ফেস রিকগনাইজ করে। গত পরশু থেকে ফোনের আর লক খোলেনি। মুখের সামনে ধরলে ফোন বিশ্বাস করে না এটা আমিই। চুলটা ঠিক করি, চশমাটা ঠিকঠাক দেই, কিন্তু কাজ হয় নয়। চেহারা এতো খারাপ হয়ে গেছিল।

এদিকে দুই সপ্তাহের জেলবাস ছিল নিজের বাড়িতে। তবু একটু বারান্দায় যাওয়া যেত, মেইন দরজা খুলে দাঁড়ানো যেত। অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তারের কথায় এখন জায়গা হয়েছে কনডেমশেলে। একটা রুমেই। সাথি শুধু থালা বাটি কম্বলের সাথে ফোন আর কয়টা বই।

#

গত রাত ২ টার পর জ্বর ও ঘুম একসাথে বিদায় নিয়েছে। গলাব্যথাটা অনেক কম। শুধু শ্বাসকষ্টটা আগের মতোই আছে। ডাক্তার বলছেন ঔষধ এগুলোই চলবে আজও।
জিম্যাক্স ৫০০ – দিনে ১বার
নাপা ৬৬৫ -দিনে ৩ বার
ফেক্সো -১২০- দিনে ২ বার
সেকলো- ২০- দিনে ২ বার
বেক্সিট্রল ইনহেলার- দিনে ৩ বার
নেবুলাইজার- দিনে ৪ বার

আর ১৫ দিন সম্পূর্ণ একা থাকার হোম আইসোলেশনও অব্যাহত থাকবে।

অত:পর :

মানুষের মাঝে এমনিতেই তেমন কোন সচেতনতা নেই, আইইডিসিআর এর তথ্য পেয়ে তারা আরো বেশি উদাসীন আচরন করবে। এই তথ্য যদি সত্য হয়, তবে না হয় যা খুশি করলো। কিন্তু বাস্তবতা কি এমন?

মানুষকে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে আমি বহু কথা বলেছি, বহু পোস্ট দিয়েছি। কখনও হতাশ হয়ে জাজমেন্টাল হয়েছি, সেন্টিমেন্টাল হয়েছি। কখনও মানুষের বিশ্বাস আহত হয়েছে। যা আমার জন্য অনুচিত ছিল। আমি তাদের কাছে সরি।

এবার আপনারা ভাবুন বাস্তবতা যদি ভিন্ন হয়, সবাই কি পরিমাণ ঝুঁকিতে আছেন একবার ধরণা করেন! আমি নিজে কিছু বলছি না। শুধু কিছু নিউজের সুত্র দিলাম। প্লিজ, যাদের হাতে সময় আছে, প্লিজ পড়ুন।

মানুষের মাঝে এমনিতেই তেমন কোন সচেতনতা নেই, আইইডিসিআর এর তথ্য পেয়ে তারা আরো বেশি উদাসীন আচরন করবে। এই তথ্য যদি সত্য হয়, তবে না হয় যা খুশি করলো। কিন্তু বাস্তবতা কি এমন?

মানুষকে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বোঝাতে আমি বহু কথা বলেছি, বহু পোস্ট দিয়েছি। কখনও হতাশ হয়ে জাজমেন্টাল হয়েছি, সেন্টিমেন্টাল হয়েছি। কখনও মানুষের বিশ্বাস আহত হয়েছে। যা আমার জন্য অনুচিত ছিল। আমি তাদের কাছে সরি।

এবার আপনারা ভাবুন বাস্তবতা যদি ভিন্ন হয়, সবাই কি পরিমাণ ঝুঁকিতে আছেন একবার ধরণা করেন! আমি নিজে কিছু বলছি না। শুধু কিছু নিউজের সুত্র দিলাম। প্লিজ, যাদের হাতে সময় আছে, প্লিজ পড়ুন।

#নো_টেস্ট_নো_করোনা

Anupam Shaikat Shanto লিখেছেন-

#মৃত্যু_১ ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। বাগেরহাটের মংলা উপজেলার এক ব্যক্তি ৫-৬ দিন জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন, স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধে কাজ হচ্ছিলো না বিধায় খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। জরুরী বিভাগে উপসর্গ শুনেই তারা বহির্বিভাগে পাঠিয়ে দেয়। অসুস্থ ওই ব্যক্তিকে কোনো রকমে ধরাধরি করে বহির্বিভাগে নেওয়ার পর কোনো চিকিৎসকই তাঁর কাছে যাচ্ছিলেন না। করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় করোনা হয়েছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, কিন্তু উপসর্গ শুনেই চিকিৎসকেরা ভয় পেয়ে রোগীর কাছে আসেননি। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁকে আবার জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। পরে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার সময় মারা যায়। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২১ মার্চ)

#মৃত্যু_২ ১৯ মার্চ। নড়াইলের এক ব্যক্তি কিছুদিন আগে সপরিবারে ভারতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ আগে ভারত থেকে বাড়িতে ফেরেন। এরপরই জ্বর, গলাব্যথা, কাশিতে আক্রান্ত হন তিনি। স্থানীয়ভাবে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) খুলনায় আনার পথেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২১ মার্চ)

#মৃত্য_৩ ১৯ মার্চ। চট্টগ্রামের এই নারী ১৯ মার্চ তারিখে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বেসরকারি ‘রয়েল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডে’ ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শ্বাসকষ্টে ওইদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটির আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে চিকিৎসক ওই রোগীকে সেবা দিয়েছেন তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। (সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪ ডট কম, ২৩ মার্চ)

#মৃত্যু_৪ ২২ মার্চ। মিরপুরের টোলারবাগে কোভিড-১৯ এ মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা, পাশের বাসায় বাস করা এই ব্যক্তি দুদিন ধরে ওই ব্যক্তির দুদিন ধরে কাশি হচ্ছিল, খাওয়ার রুচি চলে গিয়েছিল। শনিবার (২১ মার্চ) কুর্মিটোলায় নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এরপরে রোববারে শ্বাসকষ্টে অচেতন হয়ে গেলে, কুর্মিটোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্যে এম্বুলেন্স ডাকা হয়। লক্ষণ শুনে এম্বুলেন্সচালক ভয় পেয়ে রোগী বহন করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে অন্য এম্বুলেন্সে কুর্মিটোলা নিয়ে যাওয়ার সময়ে পথেই মারা যান। রোববার সকালে আইইডিসিআর নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়, কিন্তু পরীক্ষার ফল মিডিয়াতে পাইনি। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২২ মার্চ)

#মৃত্যু_৫ ২২ মার্চ। ভৈরবের এই ব্যক্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশে আসেন। শনিবার (২১ মার্চ) থেকে ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত নয়টার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর চিকিৎসকেরা তাঁর পরিবারের সদস্যদের তাঁকে হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা করাতে পরামর্শ দেন। এ অবস্থায় ওই হাসপাতাল থেকে তাঁকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার পরে নমুনা সংগ্রহের জন্য রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছিলো, কিন্তু তারপরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা, টেস্টে রেজাল্ট কি- সে খবর মিডিয়াতে পাইনি। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২২ মার্চ)

#মৃত্যু_৬ ২২ মার্চ। সিলেটের এই নারী গত ৪ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন। ১০ দিন ধরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। গত ২০ মার্চ শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি হন ওই নারী। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে আইসোলেশনে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা এবং শনিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আইসোলেশনে থাকা অবস্থাতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রোববার (২২ মার্চ) ঢাকা থেকে আইইডিসিআরের লোক সিলেটে এসে তার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। তবে এর আগেই ওই নারী মারা যান। (সূত্রঃ যুগান্তর, ২২ মার্চ)

#মৃত্যু_৭ ২৪ মার্চ। জামালপুরের এই বৃদ্ধা শনিবার (২১ মার্চ) রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে তিনি শ্বাসকষ্টে মারা যান। আইইডিসিআরের নির্দেশে সন্ধ্যায় জামালপুরের সিভিল সার্জন মৃত ওই নারীর মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সেই নমুনা পরীক্ষণের ফল মিডিয়ায় পাইনি। (সূত্রঃ ভোরের কাগজ, ২৫ মার্চ)

#মৃত্যু_৮ ২৪ মার্চ। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই নারী তার বাবার বাসায় অসুস্থ মায়ের সেবার কাজ করছিলেন। এক সপ্তাহ আগে তার মা শ্বাসকষ্টে মারা যান। তার মা’র জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। সেখানে তিনি অসুস্থ হন, তারও জ্বর, সর্দি, কাশি হয়। গতকাল গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে রাখেনি। সন্ধ্যায় বাবার বাড়িতে না নিয়ে তাকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। বাড়িতে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৫ মার্চ)

#মৃত্যু_৯ ২৪ মার্চ। ওই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন। সপ্তাহখানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে তার কর্মস্থল থেকে তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরের পর থেকে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৫ মার্চ)

#মৃত্যু_১০ ২৪ মার্চ। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাতে এই রোগী কোভিড-১৯ এর যাবতীয় লক্ষণ নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন। ২০ মার্চ তারিখে তিনি জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ২২ মার্চ আইসিইউতে নেয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ বিটিনিউজ২৪ ডট কম, ২৬ মার্চ)

#মৃত্যু_১১ ২৫ মার্চ। খাগড়াছড়ির ত্রিপুরা জাতির এই তরুণ শ্রমিক চট্টগ্রামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ করতেন। ঠাণ্ডা, উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। এবং বুধবারে বাড়িতেই মারা যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান আইইডিসিআর এর পরামর্শ মোতাবেক মৃত ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন, কেননা তাদের কাছে কোন সুরক্ষা সরজঞ্জামাদি ছিল না। (সূত্রঃ ডেইলীস্টার, ২৬ মার্চ)

#মৃত্যু_১২ ২৫ মার্চ। খাগড়াছড়ির সদর হাসপাতালে বুধবার (২৫ মার্চ) এই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসেন। তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার ৬ ঘন্টার মধ্যেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ ডেইলী স্টার, ২৬ মার্চ)

#মৃত্যু_১৩ ২৬ মার্চ। ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে একই হাসপাতালের আইসিইউতে পাশাপাশি বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই ব্যক্তি। সে ঘটনার পরে ওই হাসপাতাল থেকে সব রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং নিজ নিজ বাসায় সবাইকে কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হলে থাইরয়েড সার্জারির এই রোগীও খুলনায় চলে আসেন। কিন্তু বুধবার (২৫ মার্চ) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি থাইরয়েড সার্জারিতে ইনফেকশন নিয়ে ভর্তি হন। ঢাকায় করোনা রোগীর সংস্পর্শে তথ্য গোপন করে ভর্তি হলেও, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে তার করোনার লক্ষণ শুরু হয়, তার শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। এরপরে, গোপন করা তথ্য প্রকাশ পেলে তাকে সার্জারি ইউনিট-২ থেকে সরিয়ে ফাঁকা একটি ওয়ার্ডের এক কোণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছিল এবং দুপুর দেড়টার দিকে মারা যান। (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন, ২৬ মার্চ)। পরে, মৃত ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। একদিন পরের খবরে অবশ্য বলা হচ্ছে- ঐ ব্যক্তির করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন, ২৭ মার্চ)

#মৃত্যু_১৪ ২৭ মার্চ। গাজীপুর থেকে বাড়িতে ফিরে জ্বর ও সর্দি–কাশিতে পড়েন বগুড়ার শিবগঞ্জের এই ব্যক্তি। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। অসুস্থ স্বামীকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য স্ত্রী প্রথমে পাড়া–প্রতিবেশীদের সহযোগিতা চান। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেননি। এরপর স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সের জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন জেলা ও উপজেলার হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশে। কিন্তু সারা রাতে কোথাও থেকে তিনি কোনো সাড়া পাননি। তিনি রাতে আইইডিসিআর হটলাইনে ফোন দিয়ে কাউকে পাননি। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের হটলাইনে ফোন করেও সাড়া পাননি। ওই নারী বলেন, ‘দেখছি’ বলার বেশি কেউ কিছু করেননি। ছোট একটা মেয়েকে নিয়ে ঘরে নিস্তেজ মানুষটার পাশে বসে আছেন—জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেঁচে আছে, না মরে গেছে, বুঝতে পারছি না। কী করব বুঝতে পারছি না। করোনাভাইরাসের ভয়ে কেউ তো কাছে আসছেন না।’ (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৮ মার্চ)

#মৃত্যু_১৫ ২৭ মার্চ। নোয়াখালির বেগমগঞ্জের এই ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে এক ডাক্তারের সহকারি হিসেবে কাজ করতো। সম্পরিত তিনি জ্বর নিয়ে বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর ও কাশি নিয়ে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যান। আইইডিসিআরের পরামর্শ মোতাবেক নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষণের ফল কি, তা মিডিয়ায় পাইনি। (সূত্রঃ ডেইলী স্টার, ২৭ মার্চ)

#মৃত্য_১৬ ২৮ মার্চ। বগুড়ার শিবপুরের এই ব্যক্তি ঢাকায় ব্যবসা করতেন, গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) তিনি বগুড়ায় যান। পাঁচদিন জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিলেও তার জ্বর ভাল হচ্ছিলনা। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়। আইডিসিআর জানিয়েছিল, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলের একটি টিম নমুনা সংগ্রহ করবে। এরপরের খবর এখনো জানি না। (সূত্রঃ চ্যানেল২৪বিডি ডট টিভি, ২৮ মার্চ)

#মৃত্যু_১৭ ২৮ মার্চ। লালমনিরহাটের এই ব্যক্তি ঢাকায় রিকশা চালাতেন। গত ৭-৮ দিন আগে জ্বর, সর্দ্দি ও কাশি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের জন্য আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করেন। শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি মারা যান। (সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪, ২৮ মার্চ)

#মৃত্যু_১৮ ২৮ মার্চ। চাঁদপুরের এই ব্যক্তি কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জে তার কর্মস্থলে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হন। প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তার স্ত্রী কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্বামীকে। ২৬ তারিখে ভর্তির দুদিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। আইইডিসিআর এর রিপোর্টে টেস্ট নেগেটিভ এসেছে বলে চাঁদপুর সিভিল সার্জন জানিয়েছেন। (সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ২৮ মার্চ)

#মৃত্যু_১৯ ২৮ মার্চ। বরিশালের এই নারীর ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল, কয়েক দিন আগে তিনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল সদর হাসপতালে চার দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) তিনি বাড়ি ফিরে যান। এরপরে শুক্রবার (২৭ মার্চ) থেকেই তাঁর হালকা কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শনিবার (২৮ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই নারীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তখন তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রোগীর স্বজনদের কাছে উপসর্গের ইতিহাস শুনে তাকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। করোনা ইউনিটে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)

#মৃত্যু_২০ ২৮ মার্চ। ভোলার বৃদ্ধ এই ভ্যানচালক সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য তিন সপ্তাহ আগে পটুয়াখালী জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকালে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)

#মৃত্যু_২১ ২৮ মার্চ। নওগাঁর এই তরুণ ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে জ্বর আর কাশি নিয়ে ঢাকা থেকে নওগাঁয় আসেন। শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে সেখান থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার সময় করোনা আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহে মেম্বার ও গ্রামের লোকজন তাকে আসতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে এলাকার ভেটি স্ট্যান্ড থেকে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেন চিকিৎসকরা। এরপর তাকে কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে পরে তার সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য প্রথমে রাণীনগর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা দেখেই হাতে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠায়। নওগাঁ হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখানেও ভালোভাবে না দেখে রাজশাহী নিয়ে যেতে বলে হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে তার জ্বর কোনোভাবেই কমছিল না। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৮ মার্চ) রাতে তার মৃত্যু হয়।। (সূত্রঃ বাংলাট্রিবিউন, ২৯ মার্চ)

#মৃত্যু_২২ ২৯ মার্চ। পটুয়াখালীর এই ব্যক্তি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে রেফার করার পর শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। ওই রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং পরে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। রোববার (২৯ মার্চ) সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপতালের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কোনো কিট নেই। তবুও রোগীর লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে এখন পাঁচজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে নিশ্চিত বলা যাবে না। (সূত্রঃ প্রথম আলো, ২৯ মার্চ)

#মৃত্য_২৩ ২৯ মার্চ। মানিকগঞ্জের এই নারীর শ্বশুর এক সপ্তাহ আগে মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তিনি গিয়েছিলেন, যেখানে অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। এরপরে গত সাত দিন ধরে তিনি জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। দুই দিন ধরে তার পাতলা পায়খানা ছিল। রোববার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইইডিসিআর এর নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকটতম প্রতিবেশীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে নিহত ওই ব্যক্তির পুরো গ্রামকেই লকডাউন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। (সূত্রঃ আরটিভিঅনলাইন ডট কম, ২৯ মার্চ)

#মৃত্যু_২৪_২৫_২৬ ২৮ মার্চ। ১৯ মার্চ। ১৯ মার্চ। লোকমান হাকিম নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, তার বড় চাচা (বড় জ্যাঠা) রাত সোয়া দশটার দিকে গ্রামে তাঁর নিজ বাড়িতে মারা গিয়েছেন তিনি দুইদিন ধরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এর ৯ দিন আগে এই মৃত ব্যক্তির পুত্রবধুও (পোস্টদাতার ভাবী) ১০ বছর বয়সী এক মেয়ে রেখে মারা যান। সেই নারীর কিডনিজনিত জটিলতা থাকলেও কিছুদিন ধরে জ্বর ও অন্যান্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়াও, একই গ্রামের আরেক ব্যক্তি, পোস্টদাতার বন্ধুর পিতা, প্রায় একই উপসর্গ (জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। (সূত্রঃ জনৈক লোকমান হাকিমের ফেসবুক পোস্ট)