অনিন্দ্যবাংলা : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গার্মেন্টস কর্মী হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যই হত্যা রহস্য উদ্ধার ও আসামীকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শ্রীপুরে গত ১০ জুন সকালে অজ্ঞাতনামা এক মহিলার বিবস্ত্র (৩০) লাশ পাওয়া যায়।
ফুলবাড়িয়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) জয়িতা শিল্পীসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ কামাল আকন্দের তত্বাবধানে একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
পাশাপাশি জেলা সিআইডি পুলিশ, র্যাব, পিবিআই পুলিশও ছায়া তদন্তে নামে।
ডিবি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিমের পরিচয় সনাক্ত করে। লাশের সাথে পাওয়া ছোট একটি কাগজে লিখা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরেই নিহতের পরিচয় সনাক্ত হয়।
নিহতের পিতা অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১১(৬)২০২০। ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
শুরু থেকেই পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত করে। এবং গোপনে বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করতে থাকে। জেলা গোয়েন্দা সংস্থার পুলিশ টানা প্রায় ৪৮ ঘন্টা মাঠে থেকে তথ্যানুসন্ধান চালিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে হত্যাকান্ডে জড়িত মূল আসামীকে গ্রেফতার করে।
প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে খুনের শিকার হন গার্মেন্টস কর্মী ভিকটিম। ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনে মিস কলের মাধ্যমে ভিকটিমের সাথে পরিচয় হয় ফুলবাড়িয়া শ্রীপুরের রাজাবালী (৪৫) নামে এক লোকের সাথে। তারপর থেকে ফোনে ফোনে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়। প্রথমবার রাজাবালী ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভনে তার কাছে এনে কিছুদিন রাখে। পরে বিয়ে না করেই আবার থাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।
গত ৯ জুন বিয়ে করবে বলে রাজাবালী ভিকটিমকে আবার নিয়ে আসে। বিয়ে না করে নিয়মিত তাকে ধর্ষন করে। একসময় ভিকটিম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় রাজাবালী তাকে খুন করে
উল্লেখ্য ভিকটিমের বিয়ে হয়েছিল অনেক আগে। সংসারে ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ২ বছর ধরে সে গাজীপুর কোনাবাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে গার্মেন্টেসে কাজ করতো।
ধৃত আসামী হত্যাকাণ্ডের সমুদয় দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মতামত লিখুন :