Logo

ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ চিকিৎসক ও ৯ চিকিৎসাকর্মী সহ নতুন ৩৩ করোনা রোগী শনাক্ত

অনিন্দ্যবাংলা
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহ বিভাগে তিন জেলায় নতুন করে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৩জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক ও ৯ নার্স-আয়া, মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক চিকিৎসকসহ ময়মনসিংহ জেলায় ২২ জন, জামালপুর সদর হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসকসহ ৭ জন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকসহ ৪ জন রয়েছে। এ নিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন।

এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের দেহে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়ায় পুরো হাসপাতালজুড়ে কর্মরত চিকিৎসাকর্মীসহ রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, শেরপুর জেলার নকলা থেকে করোনায় আক্রান্ত এক অন্ত:সত্ত্বা নারী ৪দিন আগে তথ্য গোপন করে মচিমহা’য় ভর্তি হয় । তার চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস, গাইনী বিভাগ, ডায়ালাইসিস বিভাগ ও আইসিইউতে কর্মরতদের শরীরে ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই নারী এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: হিবরুল বারী অনিন্দ্যবাংলাকে জানান , অন্ত:সত্তা ওই নারী তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়ায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, নিয়েছেন তারা সবাই প্রচন্ড আতঙ্কে রয়েছে। সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তাদের কোয়ারিন্টাইনে রাখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একদিনে হাসপাতালে ৬ চিকিৎসক ও ৯জন নার্স-আয়ার করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসক স্বল্পতা দেখা দিবে। তাছাড়া সংক্রমণরোধে আপাদত গাইনী বিভাগের ওটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ওটি রুমটি ডিজ ইনফেক্ট না করা পর্যন্ত অপারেশন বন্ধ থাকবে। তবে কবে ওটি চালু হবে জানতে চাইলে, ডা: বারী বলেন ডিজ ইনফেক্ট করতে তিন-চার দিন সময় লাগতে পারে।  

গাইনীতে তিন দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন, শম্ভুগঞ্জের হামিদা বেগম, তিনি বলেন , যারা চিকিৎসা দিবো হেরাই যদি রোগী অইয়া যায়, তাইলে আমরা ক্যামনে বাঁচুম। আল্লাহ আমাগো যে কি অইবো ?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসাকর্মী বলেন, আমাদের সুরক্ষার তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই। যে যত কথাই বলুক, আমরা মারাত্মক রিস্কে আছি। মনে হয় চাকুরী ছাইড়া চইলা যাই ।