Logo

রাস্তায় নেমে ‘জীবাণু নাশক’ বিলি করছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

অনিন্দ্য বাংলা
মঙ্গলবার, মার্চ ১০, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক : ভুটানের পাশের দেশ করোনাভাইরাসের মৃত্যুপুরী চীন। সেখানে এই মারণ ভাইরাসে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের ১০৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। এই পরিস্থিতিতেও রাস্তায় নেমে জীবাণু নাশক বিলি করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানী থিম্পুর রাস্তায় নেমে হ্যান্ড স্য়ানিটাইজার বিলি করতে দেখা গেছে ভুটানি প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং কে। এই ছবি ভাইরাল হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এই জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে ব্যাপক প্রশংসা।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, ভাইরাস আতঙ্কে প্রতিবেশি ভারতে ক্রমে যোগান কমছে মাস্ক ও জীবাণু নাশকের। কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে কালোবাজারি। এর প্রভাবে ভুটানেও যোগান কমছে। থিম্পু, পারো, বুমথাং, ফুন্টশোলিং, জেলেফুর মতো শহরের ওষুধের দোকানে বাড়ছে ভিড়।

এই অবস্থায় ভুটানে সরকারি উদ্যোগে শুরু হল জনগণকে জীবাণু নাশক সরবরাহ। সেই কাজে সরাসরি নেমে পড়লেন খোদ প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং।

ভুটান সরকার জানিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত দেশে কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই। যে সব ভিনদেশি পর্যটকদের দেহে এই ভাইরাস সংক্রমণের সন্দেহ ছিল পরীক্ষায় দেখা গেছে তারা সবাই নিরাপদ।

পর্যটনের দেশ ভুটানে যে সব বিদেশি আসেন তাদের জন্য আকাশ পথে পারো বিমান বন্দর ও স্থলপথে ভারত সংলগ্ন দুটি সীমান্ত পথ ফুন্টশোলিং এবং জেলেফু পার হতে হয়। ফুন্টশোলিং হল পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাঁ সংলগ্ন। আর অসমের চিরাং জেলার লাগোয়া হল জেলেফু।

গত শুক্র ও শনিবার আমেরিকান, জার্মান, ভারতীয় সহ যে সব বিদেশিরা ভুটানে এসেছিলেন তাদের কয়েকজনকে করোনাভাইরাস রোগী বলে সন্দেহ করা হয়। সেই সংবাদে ভুটানের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

চীন থেকে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। চীনের সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন ১৪টি দেশের একটি হল ভুটান। গত ডিসেম্বর থেকে ভাইরাস ছড়ালেও পরিচ্ছন্নতা ও নিয়ম মেনে ভাইরাস চিহ্নিত করণ প্রক্রিয়ায় ভুটানিদের অংশগ্রহণ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। বিশ্বের ১০৩টি দেশ আক্রান্ত হলেও চীনের পার্শবর্তী দেশ ভুটান সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত অন্তত ৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ২ হাজার ২৩৭ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৯৭ জন। ৫৭ হাজার ৬২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন