Logo

“লক ডাউন তো ফেল করল এরপর কী?”

অনিন্দ্য বাংলা
বুধবার, মে ২৭, ২০২০
  • শেয়ার করুন

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হওয়ার পর প্রথম ১৪ দিন এ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সময়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী। মে মাসে ‘পিক টাইম’ (সংক্রমণের শীর্ষ পর্যায়) আসবে এমন ধারণা থাকলেও, তা এখনও আসেনি। জুনের মাঝামাঝি সর্বোচ্চ সংক্রমণ হতে পারে। এই হার কমতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলেও অনেকের মত।
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ১০ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত যে হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত একই হারে তা বৃদ্ধি পাবে। ১০ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১২ হাজার ৯৬৮, সরকারি হিসাবে মৃত্যু হয়েছে ১৭২ জনের।

বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সাংসদ রাহুল গান্ধী তীব্র সমালোচনা করনে চার পর্যায়ের লকডাউনে। ৬০ দিন অতিক্রম করতে চলল। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়ের ঘোষণাও করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সংক্রমণ কমছে না। বরং আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। সোমবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৩৫ জন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়ানাদ–এর সাংসদ রাহুল গান্ধীর। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন, লকডাউন তো ফেল করল। এরপর কী? কারণ লকডাউন শুরুর পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল, লকডাউনে কমবে সংক্রমণ। কিন্তু তা কমার বদলে আরও বেড়ে চলেছে।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এটা রুখতে কেন্দ্রের পরবর্তী পরিকল্পনা কী? প্রধানমন্ত্রী যে দাবি করেছিলেন এই চার পর্যায়ের লকডাউন তো তা পূরণ করল না। ভারতই বিশ্বের একমাত্র দেশ, যাঁরা কি না সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সময়েও লকডাউনে ছাড় দিচ্ছেন।’ এরপর টুইট করেও একই প্রশ্ন রাখেন রাহুল। লেখেন, ‘দু’মাস আগে লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২১ দিনের লকডাউনেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জেতা যাবে। কিন্তু ৬০ দিন কেটে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। লকডাউন তা থামাতে পারেনি। কেন্দ্রের কাছে আমার প্রশ্ন– এরপর কী? কি পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে? এই রোগকে হারাতে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে? কীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করা হবে? ছোট ছোট সংস্থা এবং রাজ্য সরকারগুলোকেই বা কীভাবে সাহায্য করবে কেন্দ্র?’ এখানেই শেষ নয়, অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা করা আর্থিক প্যাকেজেরও সমালোচনা করেন রাহুল।