শনিবার দুপুরে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর মধ্যে শনিবার বিকেলে পাঁচ ডাকাত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভালুকার ভরাডোবা এলাকার খোরশেদ হোসেন জুয়েল (৩৯), একই এলাকার সুমন মিয়া (২০), আবদুস সামাদ (৩১), ত্রিশালের গোপালপুর এলাকার আবু রায়হান (২২), গুজিয়াম গ্রামের এনামুল হক প্রভাত (২৩) ও অলহরি গ্রামের সোহাগ আলী (৩০)। এদের মধ্যে আবদুস সামাদ ছাড়া বাকিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ মে রাত সোয়া ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা-উথুরা সড়কে একদল ডাকাত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারে করে এসে মুরগীর  ডিম বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যানকে পথরোধ করে। ওই সময় পিকআপ ভ্যানচালক মমিন, সহযোগী সুমন মিয়া ও ম্যানেজার সবুজকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিকআপ ভ্যান থেকে নামিয়ে ডাকাতদের প্রাইভেটকারে তুলে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তারা পিকআপ ভ্যানটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ডিমগুলো লুট করে পিকআপ ভ্যানটি ফেলে যায়। পরবর্তীতে লুট করা ৭৫ হাজার ডিম থেকে ৩৭ হাজার ডিম গাজীপুর চৌরাস্তা কাঁচাবাজারে বিক্রি করে।

ঘটনার পরদিন ভালুকা মডেল থানায় কারওয়ান বাজারের ডিমের আড়তদার নূরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওপর। পরে তদন্ত ও অভিযান শুরু করে ডিবি এবং জড়িতদের শনাক্ত করতেও সক্ষম হয়। এরপর গত শুক্রবার ডিবির একটি দল গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, লুট করা ডিম বহন ও বিক্রির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ এবং নগদ এক লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচ জন শনিবার বিকেলে ওই মামলায় ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান, মো. ইমাম হাসান ও ইসরাত জাহানের আদালতে জবানবন্দি দেয়। পাঁচ আসামির বাইরে দুজন সাক্ষীও জবানবন্দি দেয়। পরে ছয় আসামিকেই কারাগারে পাঠানো হয়।

ময়মনসিংহ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ডাকাতিতে মোট ১১ জন অংশ নেয়। ঘটনার আগের দিন আসামিরা ভালুকার ভরাডোবা বাজারে এক হয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট ডিম, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও জড়িত অন্যাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।