জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ করেছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় একটি সাধারণ আসন ও একটি সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে, যেখানে উভয় আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক। এর আগে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো ‘জিপার পদ্ধতি’ অনুসরণ করে নারী-পুরুষ সমানভাবে মনোনয়ন দেবে। এছাড়া নির্দলীয়ভাবে অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে পাঁচটি নারী আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।
সংবিধান, আইন ও নারীর অধিকার, নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, সহিংসতামুক্ত সমাজ গঠন, নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নিরাপদ অভিবাসন, প্রযুক্তি ও ক্রীড়া-সংস্কৃতিতে নারীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত সুপারিশ তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। কমিশন মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এই সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব।
স্থানীয় সরকার পর্যায়েও প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন নারী সদস্য নির্বাচিত করার প্রস্তাব করেছে কমিশন। এই ব্যবস্থা পরবর্তী তিনটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অস্থায়ীভাবে কার্যকর রাখার কথা বলা হয়েছে।