ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মথুরা জেলার খাজপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। শুক্রবার (১৬ মে) সকালে মথুরার নৌঝিল থানার আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত একটি ইটভাটায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মথুরার সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) শ্লোক কুমার জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন এবং তারা ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ, ২৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে তারা কয়েক মাস আগে মথুরায় এসেছেন।

পুলিশ সূত্র বলছে, এই অভিযান ভারতের বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নিয়েছে।
রাজ্যজুড়ে চলছে অবৈধ অভিবাসী সনাক্তকরণ অভিযান

উত্তর প্রদেশ সরকার সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সরকারের ভাষ্যমতে, অনেক অভিবাসী ভুয়া পরিচয়পত্র ও নথিপত্র দিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে আসছেন। তাই প্রতিটি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের কড়াভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তারা অভিবাসী চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এছাড়া ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা অবৈধ ও অনুমোদনহীন স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া

এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের ‘পুশইন’ (জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো) করার অভিযোগ উঠলেও ঢাকা বলছে, বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ুআমরা ভারতের কোনো পুশইনকে উসকানি হিসেবে দেখছি না। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যেন কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমেই যেকোনো বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, একই নীতি বাংলাদেশেও প্রযোজ্য। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রেও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়।

তথ্যসূত্র: এএনআই