২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তিনি। এটি বর্তমান সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট।

বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই বাজেট আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিকেই মনোনিবেশ করেছে। ঘাটতি ও ঋণ ব্যবস্থাপনাও থাকবে সহনীয় পর্যায়ে।”

ঘোষিত বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী, মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। বাজেট ঘাটতির এই অর্থায়নের মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।

বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, যা সাম্প্রতিক ঋণ বোঝার একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন। অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে ব্যয় ব্যবস্থাপনা, সামাজিক সুরক্ষা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঘাটতির পরিমাণ বড় হলেও সরকারের লক্ষ্য যদি বাস্তবায়নযোগ্য হয় এবং রাজস্ব আহরণ কাঠামো শক্তিশালী করা যায়, তাহলে অর্থনীতি স্থিতিশীলতার দিকেই এগোবে। তবে বাজেট বাস্তবায়নে বৈদেশিক সহায়তা নির্ভরতা ও সুদ পরিশোধের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অর্থ উপদেষ্টা বাজেট ঘোষণার সময় আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা, দরিদ্রবান্ধব ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।” বাজেট নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা শেষে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তা অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।