পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। ইতোমধ্যে ঈদের জামাত আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তবে আবহাওয়া অনুকূল না থাকলে বিকল্প হিসেবে সকাল ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি জানান, ঈদের জামাতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, অজুর ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, পয়ঃনিষ্কাশনসহ মুসল্লিদের প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
জাতীয় ঈদগাহে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের উপযোগী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভিআইপি শ্রেণির মুসল্লিদের জন্য থাকছে আলাদা ব্লক, যেখানে একসঙ্গে ২৫০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাশাপাশি নারীদের জন্য নির্ধারিত আছে পৃথক নামাজের স্থান ও প্রবেশপথ।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন থাকবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়াও থাকবে মেডিক্যাল টিম, অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা।
কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য ডিএসসিসি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করেছে ৮টি অস্থায়ী হাট। এসব হাটে থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, পশু চিকিৎসক, মেডিক্যাল টিম ও এটিএম বুথ। হাট শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাট এলাকা পরিচ্ছন্ন করা হবে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শাহজাহান মিয়া জানান, ১২ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ২০৭টি ডাম্প ট্রাক ও ২০০টি মিনি ট্রাকসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি। এবার প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এ লক্ষ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ, ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং ২২২ গ্যালন স্যাভলন। এছাড়াও কোরবানির হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য নগর ভবনে চালু করা হয়েছে জরুরি অপারেশন সেন্টার। এ কাজে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহজাহান মিয়া নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, “সবার প্রতি অনুরোধ, নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিন। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আপনারা নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ ঈদের দিন নগরবাসীকে উপহার দেওয়া হবে একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহর।”