অন্যান্য খবর আইন-আদালত

সুব্রত বাইন ছিলেন র‌্যাবের গোপন সেলে বন্দি: গুম তদন্ত কমিশনের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন!

অনিন্দ্যবাংলা ডেস্ক:

প্রকাশ : ৫-৬-২০২৫ ইং | নিউজটি দেখেছেনঃ ৫০০৯

বাংলাদেশে আলোচিত গুম-সংক্রান্ত ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৬-৭ আগস্ট পর্যন্ত তিনি র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলের একটি গোপন স্থানে আটক ছিলেন।

গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয় এই প্রতিবেদন। পরে আজ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে এর সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত সংস্থা ইন্টারপোলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা সুব্রত বাইনকে একটি গোপন বন্দি বিনিময় কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে এনে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর বদলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে একজন বাংলাদেশি নাগরিককে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ।

কমিশনের মতে, এই বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়াটি ছিল “বেআইনি ও গোপন” এবং কোনো আন্তর্জাতিক বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় ছিল না। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।


সুব্রত বাইন একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী, যিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশের ‘২৩ মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০১২ সালে নেপালের একটি কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে কলকাতাসহ একাধিক স্থানে গ্রেপ্তার হলেও বারবার জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

এই গোপন বন্দি বিনিময় ও আটকের ঘটনা নিয়ে কমিশন বিস্তারিত তদন্তের সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, গুম ও গোপন আটক রাখার মতো ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং দেশের সংবিধান উভয়েরই সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা ও তদন্তের দাবি জোরালো হতে পারে।