‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা। ঈদের ছুটির পর ১৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন মঙ্গলবার (১৭ জুন) আরও তীব্র রূপ নেয়।
বেলা ১১টার পর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় কর্মচারীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে তারা মিছিল সহকারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। কর্মচারীদের দাবি, সংশোধিত এই অধ্যাদেশটি একতরফাভাবে চাকরিচ্যুতির সুযোগ রেখে সরকারি চাকরি নিরাপত্তাহীন করে তুলবে।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন পায় এবং ২৫ মে তা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুতি করা যাবে। এই বিধানকে 'নিবর্তনমূলক' ও 'কালো আইন' আখ্যা দিয়ে কর্মচারীরা অধ্যাদেশটি সম্পূর্ণভাবে বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, এই অধ্যাদেশ কর্মীদের ন্যায্য অধিকার খর্ব করে এবং চাকরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে। তারা দাবি করেন, আইনি প্রক্রিয়া ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়া কাউকে চাকরিচ্যুত করার ক্ষমতা দিলে তা প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ তৈরি করবে।
সরকারি কর্মচারীরা ২৪ মে থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁরা কয়েকজন উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
এদিকে, সচিবালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রমে এই আন্দোলনের প্রভাব পড়ছে বলে জানা গেছে। অনেক দপ্তরে কাজকর্ম আংশিকভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।